সোমবার, ০২ অক্টোবর ২০২৩, ০২:৩৯ অপরাহ্ন

বেনাপোলে আ.লীগের ৭৪তম প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী উদযাপণ

মোঃ জমির হোসেন,স্টাফ রিপোর্টারঃ-
  • Update Time : শুক্রবার, ২৩ জুন, ২০২৩
  • ৩৩ Time View

শত সংগ্রামে অজস্র গৌরবে স্মার্ট বাংলাদেশ গড়ার প্রত্যয়ে উপমহাদেশের ঐতিহ্যবাহী ও প্রাচীনতম সংগঠন বাংলাদেশ আওয়ামীলীগের ৭৪তম প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী উপলক্ষ্যে যশোর জেলার শার্শা উপজেলা আওয়ামীলীগের উদ্যোগে বেনাপোলে স্মরণকালের সেরা আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।

শুক্রবার(২৩ জুন) বিকাল ৪টায় বেনাপোল বন্দর সংলগ্ন ছোটআঁচড়া মোড়স্থ বেনাপোল পৌর আ.লীগ কার্যালয় প্রাঙ্গণে এই আলোচনার কর্মসূচি অনুষ্ঠিত হয়। এতে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন-৮৫,যশোর-১শার্শা আসনের এমপি শেখ আফিল উদ্দিন। বিশাল ঐ জনসভায় সভাপতিত্ব করেন-বীর মুক্তিযোদ্ধা সিরাজুল হক মঞ্জু(সভাপতি,শার্শা উপজেলা আ.লীগ ও চেয়ারম্যান,শার্শা উপজেলা পরিষদ)। অনুষ্ঠান সঞ্চালনায় ছিলেন- অধ্যক্ষ মোঃ ইব্রাহীম খলিল(যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক,শার্শা উপজেলা আ.লীগ ও সাবেক সদস্য,যশোর জেলা পরিষদ)।

কেক কেটে ৭৪তম প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী উদযাপনের শুভ সূচনা ঘটান এমপি শেখ আফিল উদ্দিন।

দীর্ঘ ৭৪ বছরে দেশ বিভাজণ পূর্ববর্তী এবং পরবর্তী সময় সমুহে ঐতিহ্যবাহী এই দলটি জনজীবণমাণ উন্নয়ণ এবং দেশকে উন্নয়ণমুখী করে তুলতে যে সকল দিকনির্দেশনা নিয়ে নিরলস প্রচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে, সে সকল আলচ্য বিষয়গুলি নিয়ে বিস্তর আলোচনায় বক্তব্য রাখেন উপস্থিত আ.লীগের বিভিন্ন পর্যায়ের নেতা-কর্মী ও আলোচকবৃন্দ। ১ কিঃ মিঃ ব্যাপি বিশাল ঐ আলোচনাসভা প্রাঙ্গণে দুপুরের পর থেকে শার্শা উপজেলার ১১টি ইউনিয়ন থেকে শত শত নেতা-কর্মী উপস্থিত হতে থাকে।

প্রধান অতিথি শেখ আফিল উদ্দিন বলেন,আওয়ামী লীগ জাতির পিতার হাতে গড়া সংগঠন, এই সংগঠন যখন ক্ষমতায় আসে দেশের মানুষের কল্যাণ হয়, মানুষ খেয়েপরে ভালো থাকে, মানুষের ভাগ্য পরিবর্তন হয়। আ.লীগ ক্ষমতায় আসার পর আজকের বাংলাদেশ ঘুরে দাঁড়িয়েছে, বাংলাদেশ বিশ্বে মর্যাদা পেয়েছে, উন্নয়নের রোল মডেল হয়ে এই বাংলাদেশ এগিয়ে যাবে। দেশের সার্বিক উন্নয়ন নিশ্চিতে এবং বর্তমান সরকারের বাস্তবায়নাধীন উন্নয়ন কর্মকাণ্ড অব্যাহত রাখতে নৌকা প্রতীকে ভোট দিতে আবারও আহ্বান জানিয়েছেন। তিনি বলেন, আগামী দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনেও আপনারা নৌকা মার্কায় ভোট দিয়ে আওয়ামী লীগকে জয়যুক্ত করে আপনাদের সেবা করার সুযোগ দেবেন, সে আবেদনই আপনাদের কাছে জানাই। ২০০১-২০০৬ ইং সনের সেই অত্যাচারী বিএনপি-জামাতের আগুন তান্ডপ শার্শার মানুষ আর দেখতে চাই না। মানুষ উন্নয়ন দেখতে চাই। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সেই উন্নয়নের কাজ করে যাচ্ছেন,এই উন্নায়ন বাংলাদেশের উন্নয়ন, এই উন্নয়ন আপনার আমার, এই উন্নয়ন আমাদেরই ধরে রাখতে হবে। বিএনপি কে প্রতিহত করতে আমাদের কে এগিয়ে আসতে হবে আমরা যদি এগিয়ে না আসি তাহলে আমাদের এ উন্নয়ন বাধাগ্রস্থ হবে,দেশ পিছিয়ে যাবে। আওয়ামীলীগ সরকার জনবান্ধব ও উন্নয়নমূখী সরকার। তাই জনবান্ধব ও উন্নয়নমুখী আওয়ামীলীগ সরকারকে আবারো আগামী সংসদ নির্বাচনে রাষ্ট্রীয় ক্ষমতায় আনতে নেতাকর্মীদের ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করার আহবান জানান শেখ আফিল উদ্দিন।

তিনি আরও বলেন,আগামী ১৭ জুলাই/২০২৩ ইং তারিখ বেনাপোল পৌরসভা নির্বাচন। এই নির্বাচনে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা “নৌকা” প্রতীক দিয়ে আপনাদের এলাকার কৃতি সন্তান মোঃ নাছির উদ্দিন কে মনোনীত করেছেন। বেনাপোল পৌরসভাকে মডেল হিসেবে গড়ে তুলতে আপনারা “নৌকা” প্রতীকে ভোট দিয়ে নাছির উদ্দিন কে জয়যুক্ত করবেন।

আলোচনা সভায় অংশ নেওয়া উল্লেখযোগ্য অতিথিদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন-সালেহ আহম্মেদ মিন্টু(সদস্য,যশোর জেলা পরিষদ), শার্শা উপজেলা পরিষদ ভাইস চেয়ারম্যান- আলেয়া ফেরদৌস,বেনাপোল পৌর আ.লীগ সাধারণ সম্পাদক- মোঃ নাসির উদ্দিন(১৭ই জুলাই/২০২৩ ইং তারিখ বেনাপোল পৌরসভা নির্বাচনে “নৌকা” প্রতীক প্রাপ্ত,মেয়র প্রার্থী) , কামরুজ্জামান বাবলু(বেনাপোল পৌর যুবলীগ নেতা ও চেয়ারম্যান কে বি গ্রুপ ইন্টারন্যাশনাল),যশোর জেলা যুব মহিলালীগের সাধারণ সম্পাদক-শামীমা সালমা আলম, শার্শা যুবলীগ সভাপতি- অহিদুজ্জামান অহিদ, সাধারণ সম্পাদক-সোহরাব হোসেন,কোষাধ্যক্ষ-অহিদুজ্জামান, বেনাপোল পৌরযুবলীগ আহবায়ক-আহাদুজ্জামান বকুল,যুগ্ম আহবায়ক-জসিম উদ্দীন,পৌর ৫নং ওয়ার্ড আ.লীগ সভাপতি-আব্দুল হক খোকন,সাধারণ সম্পাদক-মাইদুল ইসলাম,শার্শা যুব মহিলালীগের সভাপতি- শিরিনা আক্তার, সাধারণ সম্পাদক- লতিফুন নাহার। বেনাপোল পৌর আ.লীগ যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক-আরিফুজ্জামান ভাদু
বেনাপোল ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি- তাহাজ্জেল হোসেন ভোলা, সাধারণ সম্পাদক- সাইদুজ্জামান শহীদ।
বেনাপোল বন্দর হ্যান্ডলিং শ্রমিক ইউনিয়ন সভাপতি-রাজু আহম্মেদ ও আক্তারুজ্জামান। শার্শা উপজেলা শ্রমিকলীগের সাধারণ সম্পাদক-আবুল হোসেন,কৃষকলীগ সভাপতি-আব্দুর রহিম ডাক্তার,মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার-শাহ আলম,আ.লীগ নেতা-মাহতাব উদ্দিন,আকবর আলী,মনিরুজ্জামান ঘেনা(সভাপতি,ট্রাংক,লরী,কাভার্ড ভ্যান শ্রমিক ইউনিয়ন-২৪০৬) ও সাধারণ সম্পাদক-কাজী শাহীনুল ইসলাম।

বর্তমান ইউপি চেয়ারম্যান- বজলুর রহমান(৪নং বেনাপোল),কবির উদ্দিন আহম্মেদ তোতা(১০নং শার্শা ইউনিয়ন),মোঃ মফিজুর রহমান(৩নং বাহাদুরপুর),আসাদুজ্জামান মুকুল(১নং ডিহি),আমেনা খাতুন(২নং লক্ষণপুর),মোঃ আব্দুল গফ্ফার সরদার(৫নং পুটখালী),তবিবর রহমান(৬নং গোগা),আলতাফ হোসেন(৭নং কায়বা),মোঃ আব্দুল খালেক(৮নং বাগআঁচড়া),মোঃ রফিকুল ইসলাম(৯নং উলাশী),সেলিম রেজা বিপুল(১১নং নিজামপুর)।

এমপি আফিল উদ্দিনের পিএ-আসাদুজ্জাান আসাদ, আ.লীগ নেতা-ছোট আলী কদর,আব্দুল হামিদ(বেনাপোল পৌর ৯নং ওয়ার্ড আ.লীগ সভাপতি),মোঃ কামাল হোসেন(১৭জুলাই/২০২৩ পৌর নির্বাচনে ৯নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর পদপ্রার্থী)।

সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান-হোসেন আলী(১নং ডিহি),কামাল হোসেন(২নং লক্ষণপুর),মাস্টার হাদিউজ্জামান(৫নং পুটখালী),আব্দুর রশিদ(৬নং গোগা),হাসান ফিরোজ আহম্মেদ টিংকু(৭নং কায়বা),ইলিয়াছ কবির বকুল(৮নং বাগআঁচড়া),মোঃ আয়নাল হক(৯নং উলাশী),মোঃ সোহরাব হোসেন(১০নং শার্শা),আবুল কালাম আজাদ(১১নং নিজামপুর)।

কায়বা ইউনিয়ন আ.লীগ সাধারণ সম্পাদক- মোঃ শরিফুল ইসলাম, নিজামপুর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক নাসির উদ্দিন তরফদার,লক্ষণপুর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সহসভাপতি সামছুর রহমান,পুটখালী ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আবুল হোসেন, সাংগঠনিক সম্পাদক সিরাজুল ইসলাম, নেতা নাসির উদ্দিন,গোগা ইউনিয়ন আ.লীগ সাধারণ সম্পাদক- মোতাহার হোসেন,উলাশী ইউনিয়ন আ.লীগ সাধারণ সম্পাদক- সাহেব আলী,১০ নং শার্শা সদর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মোরাদ হোসেন।

শার্শা ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি- আব্দুর রহিম সরদার, সাধারণ সম্পাদক- ইকবাল হোসেন রাসেল,সাংগঠনিক সম্পাদক-আল আমিন রুবেল, বেনাপোল পৌর ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি-আব্দুল্লাহ আল মামুন,সাবেক সাধারণ সম্পাদক-তৌহিদুল ইসলাম তৌহিদ, শাহ জামাল(সভাপতি, পৌর ৯নং ওয়ার্ডে অবস্থিত ” শেখ রাসেল স্মৃতি সংঘ”),শার্শা শ্রমিকলীগের যুগ্ম আহবায়ক- আবুল হোসেন, শার্শা বাস্তহারালীগের সাধারণ সম্পাদক- মোহাম্মদ আলী,বেনাপোল পৌর স্বেচ্ছাসেবকলীগ সভাপতি-মোঃ জুলফিকার আলী মন্টু,সাধারণ সম্পাদক-মোঃ কামাল হোসেন, দপ্তর সম্পাদক-নাজিম উদ্দিন রাব্বি সহ শার্শা+বেনাপোল পৌর শাখা আ.লীগের সহযোগী এবং ভ্রাতৃপ্রতীম সংগঠনের সকল নেতা-নেতৃবৃন্দ।

যশোর জেলার শার্শা উপজেলার আওয়ামীলীগ দপ্তর সূত্রে সংক্ষিপ্তাকারে দলটি’র ইতিহাস সম্পর্কে যতটুকু জানা যায়-
আওয়ামী লীগের গোড়াপত্তন হয় ২৩ জুন ১৯৪৯ খ্রিষ্টাব্দে “পূর্ব পাকিস্তান আওয়ামী মুসলিম লীগ” প্রতিষ্ঠার মধ্য দিয়ে। সে সময় শুরুতেই দলটি’র প্রতিষ্ঠাতা ছিলেন-আব্দুল হামিদ খান ভাষানী। ১৯৫৫ সালে অসাম্প্রদায়িক রাজনৈতিক আদর্শের অধিকতর প্রতিফলন ঘটানোর জন্য ঢাকায় অনুষ্ঠিত দলের তৃতীয় সম্মেলনে দলের নাম থেকে ‘মুসলিম’ শব্দটি বাদ দেওয়া হয়, নতুন নাম রাখা হয় ‘পূর্ব পাকিস্তান আওয়ামী লীগ’। ১৯৭১ সালে মহান মুক্তিযুদ্ধে বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠা হওয়ার পর থেকে এই দলটি’র নাম করণ করা হয়-“বাংলাদেশ আওয়ামীলীগ”। ১৯৭০ সাল থেকে এর নির্বাচনী প্রতীক ছিল “নৌকা”।

বর্তমানে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ এর সহযোগী সংগঠনের সংখ্যা ৮ টিঃ- মহিলা আওয়ামী লীগ,যুবলীগ,স্বেচ্ছাসেবক লীগ,যুব মহিলা লীগ,তাঁতী লীগ,বঙ্গবন্ধু আওয়ামী আইনজীবী পরিষদ,কৃষক লীগ এবং মৎস্যজীবী লীগ।
ভ্রাতৃপ্রতিম সংগঠনের মধ্যে রয়েছেঃ-বাংলাদেশ ছাত্রলীগ ও জাতীয় শ্রমিক লীগ। তবে,”মহিলা শ্রমিক লীগ” ও “স্বাধীনতা চিকিৎসক পরিষদ” আওয়ামী লীগের ‘নীতিগত’ অনুমোদিত সংগঠন।
এর বাইরে আওয়ামী লীগের সহযোগী কিংবা ভ্রাতৃপ্রতিম কোন সংগঠন নেই।

এ পর্যন্ত দলের ২২টি কাউন্সিলে আওয়ামী লীগ সভাপতি পদে পেয়েছে ০৬ জনকে আর সাধারণ সম্পাদক পদে পেয়েছে নয়জনকে। বর্তমান সভাপতি শেখ হাসিনা আওয়ামী লীগের ষষ্ঠ সভাপতি আর ওবায়দুল কাদের দলটির নবম সাধারণ সম্পাদক।

তবে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান সপরিবারে ও জাতীয় চার নেতা নিহত হওয়ার পর ১৯৭৬ সালে মহিউদ্দিন আহমেদ ভারপ্রাপ্ত সভাপতি ও সৈয়দা সাজেদা চৌধুরী সাধারণ সম্পাদক হন। এর পরের বছর ১৯৭৭ সালে দলের ১১তম কাউন্সিলে সৈয়দা জোহরা তাজউদ্দীনকে আহ্বায়ক করা হয়।

স্বাধীনতার পূর্বে দল গঠনের শুরুতে দলের প্রথম সভাপতি ছিলেন মাওলানা আবদুল হামিদ খান ভাসানী। তিনি ১৯৪৯ থেকে ১৯৫৭ সাল পর্যন্ত চারটি কাউন্সিলে সভাপতি নির্বাচিত হন। এরপর ওই বছর একটি বিশেষ কাউন্সিলে ভারপ্রাপ্ত সভাপতি হন আবদুর রশিদ তর্কবাগীশ। ১৯৬৪ সালে দলের পঞ্চম কাউন্সিলে তিনি সভাপতি নির্বাচিত হন। সভাপতি পদে ছিলেন ১৯৬৬ সাল পর্যন্ত। ওই বছর ষষ্ঠ কাউন্সিলে দলের সভাপতি হন জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান। তিনি ১৯৭৪ সাল পর্যন্ত সভাপতি পদে ছিলেন। ১৯৭৪ সালে দশম কাউন্সিলে সভাপতি হন এ এইচ এম কামরুজ্জামান। ১৯৭৫ সালে ঘাতকের গুলিতে কেন্দ্রীয় কারাগারে নিহত হন তিনি। এরপর ১৯৭৮ সালে কাউন্সিলে সভাপতি হন আবদুল মালেক। তিনি ১৯৮১ সাল পর্যন্ত ছিলেন। ১৯৮১ সালের ফেব্রুয়ারি থেকে এখন পর্যন্ত ৪২ বছরের বেশি সময় ধরে দলের সভাপতি পদে আছেন বর্তমান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। দলের ১৩তম কাউন্সিলে তিনি প্রথম সভাপতি হন।

১৯৪৯ সালে দলের প্রথম কাউন্সিলে সাধারণ সম্পাদক হন শামসুল হক। এরপর ১৯৫৩ থেকে ১৯৬৬ সাল পর্যন্ত দলের দ্বিতীয় সাধারণ সম্পাদক হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান। ১৯৬৬ থেকে ১৯৭২ সাল পর্যন্ত তিন মেয়াদে দলের সাধারণ সম্পাদক ছিলেন তাজউদ্দীন আহমেদ। এরপর ১৯৭২ থেকে ১৯৭৬ সাল পর্যন্ত জিল্লুর রহমান সাধারণ সম্পাদক ছিলেন। এরপর দুই মেয়াদে সাধারণ সম্পাদক হন আবদুর রাজ্জাক। ১৯৮৭ সালে সাধারণ সম্পাদক হন সৈয়দা সাজেদা চৌধুরী। ছিলেন ১৯৯২ সাল পর্যন্ত। এরপর জিল্লুর রহমান আবারও দুই মেয়াদে ২০০২ সাল পর্যন্ত সাধারণ সম্পাদক ছিলেন। ২০০২ সালের কাউন্সিলে সাধারণ সম্পাদক হন আবদুল জলিল। ছিলেন ২০০৯ সাল পর্যন্ত। ওই বছর দলের ১৮তম কাউন্সিলে সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত হয়ে সৈয়দ আশরাফুল ইসলাম দায়িত্ব পালন করেন ২০১৬ সাল পর্যন্ত। ২০১৬ সালে আওয়ামী লীগের ২০তম কাউন্সিলে সাধারণ সম্পাদকের পদ পান ওবায়দুল কাদের।

২০২২ ইং সনের ২৪ ডিসেম্বর রাজধানী ঢাকায় সর্বশেষ ২২তম ত্রি-বার্ষিক কাউন্সিল অধিবেশনে দলটির সভাপতি হিসেবে ১০ম বারের মতো নির্বাচিত হন শেখ হাসিনা ও তৃতীয় বারের মত সাধারণ সম্পাদক পদে নির্বাচিত হন ওবায়দুল কাদের। ১৯৮১ সালে দীর্ঘ নির্বাসন কাটিয়ে দেশে ফেরার পর থেকে আওয়ামী লীগের নেতৃত্ব দিয়ে আসছেন দলের সভাপতি ও ৪বারের নির্বাচিত বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

Please Share This Post in Your Social Media

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

More News Of This Category
©২০২৩
Designer: Shimulツ
themesba-lates1749691102