রংপুর সদরের একটি ভুট্টা ক্ষেত থেকে ৬০ বস্তা ভিজিএফ চাল উদ্ধার করেছে স্থানীয়রা। সরকারি বরাদ্দের এ চালগুলো পবিত্র ঈদুল আযহায় দুঃস্থদের মাঝে বিতরণের জন্য দেওয়া হয়েছিল। গতকাল মঙ্গলবার (১৩ জুন) বিকেলে চন্দনপাট ইউনিয়ন পরিষদের পিছনের ভুট্টা ক্ষেত থেকে এসব চাল উদ্ধার হলেও ঘটনাটি বুধবার (১৪ জুন) সকালে জানাজানি হয়।
স্থানীয় জাকির, আলম, কামরুল সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, মঙ্গলবার (১৩ জুন) ছিল ভিজিএফ কার্ডধারীদের চাল বিতরণের দিন। ওই দিন চাল বিতরণের ফাঁকে বিকেলের দিকে প্রকৃতির ডাকে সাড়া দিতে পরিষদের পেছনের একটি ভুট্টা ক্ষেতে গিয়ে দেখে গাছের ফাঁকে এলোমোলোভাবে চালের বস্তাগুলো পড়ে আছে। ঘটনাটি জানাজানি হলে উপস্থিত লোকজন ভুট্টা ক্ষেতে ঢুকে চালের বস্তাগুলো যে যার মতো করে নিয়ে যায়।
এদিকে এতগুলো চালের বস্তা কে বা কারা ভুট্টা ক্ষেতে ফেলে রেখেছে, এ বিষয়ে ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যানসহ ইউপি সদস্যরা কেউই মুখ খুলেননি। অন্যদিকে কেউ এই চালের দায় ভার না নেওয়ায় লোকজন যে যার মতো বস্তা ভর্তি চাল নিয়ে গেছেন বলে জানিয়েছে স্থানীয়রা।
এ বিষয়ে চন্দনপাট ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আমিনুর রহমান বলেন, ‘আমি হজ করতে যাচ্ছি, তাই চাল বিতরণ ও দেখভালের জন্য ইউপি সদস্য তাজুল ইসলাম, ফরহাদ হোসেন ও রত্না পারভীনকে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছিল।’
চাল বিতরণকালে ট্যাগ অফিসারসহ সংশ্লিষ্ট সকলেই উপস্থিত ছিলেন এবং বিকেল ৪টার মধ্যে চাল বিতরণ সম্পন্ন করে সকলে চলে যান উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘কিন্তু কিভাবে এতগুলো চালের বস্তা পরিষদের বাইরে গেল তা আমার বোধগম্য নয়। পবিত্র ঈদুল আযহা উপলক্ষে ৩ হাজার ৬৪ জন ভিজিএফ (চাল) খাদ্যশস্য উপকারভোগীদের মধ্যে বিতরণের করার কথা ছিল। ’
এদিকে বুধবার সকালে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান নাছিমা জামান ববি, উপজেলা নিবার্হী কর্মকর্তা নূর নাহার বেগম, সদর কোতয়ালী থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সুশান্ত সরকার প্রমুখ।
রংপুর সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) নুর নাহার বেগম বলেন, আমরা ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছি। এ ঘটনার সঙ্গে কারা জড়িত থাকতে পারে তা তদন্ত করে বের করা হবে। আমরা ঘটনাটি গুরুত্বের সঙ্গে নিয়েছি। ইতোমধ্যে এ ঘটনাটি খতিয়ে দেখতে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী কাজ শুরু করেছে।