সুন্দরবন ডেক্স: শরণখোলায় প্রতিপক্ষকে ঘায়েল করতে হরিণের মাংস দিয়ে মালেক ফরাজি নামের এক ব্যক্তিকে ফাঁসিয়ে দেয়ার অভিযোগ পাওয়া গেছে। বুধবার (৫ জুলাই) ভোর ৬টার দিকে উপজেলার বগী দশঘর গ্রামের নিজ বসত ঘরের বারান্দা থেকে মাংসসহ তাকে আটক করে বনরক্ষীরা। এ ঘটনার প্রতিবাদ ও মালেক ফরাজির মুক্তির দাবীতে মানববন্ধন করেছে গ্রামবাসী।
স্থানীয় শিক্ষক মাহামুদ হাসান, ইউপি সদস্য রিয়াদুল পঞ্চায়েত, সমাজ সেবক হানিফ মুন্সি, আব্দুর রাজ্জাক, আবু সালেহ অবিযোগ করে বলেন, আগামী শুক্রবার (৭ জুলাই) দিনমজুর মালেক ফরাজি তার ওয়ার্ডে গ্রাম পুলিশ নিয়োগ দিবেন।
সে যাতে ওই পরিক্ষায় অংশ নিতে না পারে এজন্য প্রতিপক্ষরা কৌশলে তার বসত ঘরের ভাঙ্গা বারান্দায় তিন কেজি হরিণিরে মাংস পলিখিনে ঝুলিয়ে রেখে বন বিভাগকে খবর দেয়। বন বিভাগের বগী স্টেশনের বনরক্ষীরা ওই খবরে অভিযান চালিয়ে মাংসসহ মালেক ফরাজিকে আটক করে নিয়ে যায়। তাদের দাবী পরিকল্পিতভাবে হরিণের মাংস রেখে নিরপরাধ ব্যক্তিকে হরিণের মাংস দিয়ে ফাঁসানো হয়েছে।
সংশ্লিষ্ট সাউথখালী ইউপি চেয়ারম্যান মোঃ ইমরান হোসেন রাজিব বলেন, এটি একটি পরিকল্পিত ষড়যন্ত্র। এর অগেও প্রতিপক্ষকে ফাঁসাতে সুন্দরবন সংলগ্ন এলাকায় এ ধরনের ঘটনা ঘটেছে। তিনি নিরপরাধ কোন ব্যক্তি যেন হয়রানির শিকার না হয় সে ব্যপারে বন বিভাগের প্রতি দাবী জানান।
সুন্দরবনের শরণখোলা রেঞ্জের বগী স্টেশন কর্মকর্তা মোঃ জাহাঙ্গীর হোসেন জানান, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে খবর পেয়ে তার স্টেশনের বনরক্ষীদের একটি দল মালেক হাওলাদারের বসত ঘরের বারান্দা থেকে তিন কেজি হরিণের মাংসসহ মালেক হাওলাদারকে আকট করে স্টেশন অফিসে নিয়ে আসা হয়। কিন্তু এটি পরিকল্পিতভাবে ফাঁসানোর জন্য বন বিভাগকে খবর দেয়া হয়েছে বলে স্থানীয়রা তাকে জানিয়েছেন। তবে এবিষয়ে শরনখোলা রেঞ্জ কর্মকর্তা তদন্ত করে সিদ্ধান্ত নিবেন বলে তিনি জানান।
এ ব্যপারে শরনখোলা রেঞ্জ কর্মকর্তা (এসিএফ) শেখ মাহাবুব হাসান ও বিভাগীয় বন কর্মকর্তা মুহাম্মদ বেলায়েত হোসেনের সাথে একাধিকবার মুঠোফোনে কল করেও কথা বলা সম্ভব হয়নি।