হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে ৬৮টি গোল্ডবারসহ এক বিমান কর্মকর্তাকে আটক করেছে এয়ারপোর্ট আর্মড পুলিশ ব্যাটালিয়ন (এপিবিএন)। রোববার রাত ১০ টায় বিমানবন্দরের হ্যাংগারের সামনে থেকে তাকে গ্রেফতার করা হয়।উদ্ধারকৃত স্বর্নের বাজারমূল্য ৭ কোটি ৮০ লক্ষ টাকা।
বিষয়টি নিশ্চিত করেন এয়ারপোর্ট আর্মড পুলিশের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মোহাম্মদ জিয়াউল হক। তিনি বলেন, বিমানের এয়ারক্রাফট মেকানিক শফিকুল ইসলামকে (৩৩) গ্রেফতারের পর তার কোমরে লুকানো অবস্থায় ৬৮ টি গোল্ডবার পাওয়া যায়। যার ওজন ৭ কেজি ৮৮৮ গ্রাম।
পুলিশ সুপার জিয়াউল হক আরও বলেন, গতকাল নিয়মিত কার্যক্রমের অংশ হিসেবে বিমানবন্দরের এপ্রোন সাইডে নজরদারি করছিল এয়ারপোর্ট আর্মড পুলিশ ব্যাটালিয়নের সাদা পোষাকে গোয়েন্দা দল। সন্ধ্যা ৭ টায় বাংলাদেশ বিমানের কুয়ালালামপুর থেকে ছেড়ে আসা ফ্লাইট বিজি ৩৮৩ ঢাকায় অবতরন করে। সকল কার্যক্রম শেষে বিমানটি রাতে সাড়ে ৯টায় হ্যাংগারে নিয়ে যাওয়া হয়, এবং হ্যাংগারের সামনে পার্ক করে রাখা হয়। বিমানের টেকনিশিয়ান, ক্লিনার এবং অন্যান্য স্টাফরা তাদের কাজ শেষ করে একে একে বিমান ত্যাগ করলেও বিমানটির দিকে নজর রাখছিল এপিবিএন। বিমানের সকল কার্যক্রম শেষ হওয়ার পর রাত ১০ টায় যখন বিমানে আর কেউ ছিল না, তখন খুবই দ্রুততার সাথে বিমানের এয়ারক্রাফট মেকানিক অভিযুক্ত শফিকুল ইসলামকে বোয়িং ৭৭৭ মডেলের এই উড়োজাহাজে উঠতে দেখা যায়। তার চলাচলের ধরন এবং মুভমেন্ট দেখে সন্দেহ হয় এয়ারপোর্ট এপিবিএনের গোয়েন্দা দলের।
কিছুক্ষণের মধ্যেই যখন সে নেমে আসে এবং দ্রুততার সাথে স্থান ত্যাগের চেষ্টা করে তখন তাকে আটক করা হয়। আটকের পর তাকে হ্যাংগারের সামনেই বিভিন্ন এজেন্সির উপস্থিতিতে তল্লাশী করা হয়। এসময় তার কাছে উল্লেখিত ৬৮ টি গোল্ডবার পাওয়া যায়। এ সকল গোল্ডের ব্যাপারে তিনি কোনো সদুত্তর দিতে পারেন নাই। জিজ্ঞাসাবাদে শফিকুল জানান, তিনি বিমানের ডগ বক্স থেকে এই গোল্ড সংগ্রহ করেন বলে জানান। কিন্তু এই গোল্ডের গন্তব্য সম্পর্কে তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হলে তিনি সুস্পষ্ট কোনো তথ্য না জানিয়ে বিভিন্ন উদ্দেশ্যহীন কথাবার্তা বলতে থাকেন।
পুলিশের এই কর্মকর্তা আরও বলেন, উদ্ধারকৃত স্বর্নের বাজারমূল্য ৭ কোটি ৮০ লক্ষ টাকা। আটককৃত বিমানের এয়ারক্রাফট মেকানিক শফিকুল ইসলাম ২০১৩ সালে ক্যাজুয়াল স্টাফ হিসেবে বিমানে যোগদান করেন। ২০১৭ সালে স্থায়ী হন। তিনি খুলনা জেলার দৌলতপুর থানার অধিবাসী। তার বিরুদ্ধে নিয়মিত আইনে মামলা প্রক্রিয়াধীন।