আজকের সূর্য ডুব দিলেই, কালের গহ্বরে লুকোবে শীতকাল। বাংলার ষড়ঋতুর পালাবদলে ভোরের সূর্যোদয়ের সাথে সাথে বর্ষ পঞ্জিকায় হাজির হবে ১লা ফাল্গুন। শুরু বসন্তকাল। হ্যাঁ, কাল প্রকৃতিতে আসছে ঋতুরাজ বসন্ত।
এরই মধ্যে প্রকৃতির বর্ণিল সাজ জানান দিচ্ছে, ঋতুরাজ বসন্তের উপস্থিতি। উত্তর-পূর্ব আর দক্ষিণ-পশ্চিমা বাতাস মিলেমিশে একাকার হয়ে, মৃদুমন্দ বায়ু বইছে চারপাশে। প্রকৃতিতে নানা রংয়ের সমারোহ। গাছে গাছে আমের বোল, পুষ্প মঞ্জুলিকা, শিমুল-পলাশে সেজেছে প্রকৃতি। একটু পত্র-পল্লব ঘেরা পরিবেশে গেলেই শোনা যাচ্ছে কোকিলের কুহুতান। সব মিলিয়ে ঋতুরাজ বসন্ত কিছুটা হলেও বর্ণিল ছোঁয়া দিচ্ছে করোনার বিমর্ষ এই কালে।
মোগল সম্রাট আকবর প্রথম বাংলা নববর্ষ গণনা শুরু করেন ১৫৮৫ সালে। নতুন বছরকে কেন্দ্র করে ১৪টি উৎসবের প্রবর্তন করেন তিনি। এর মধ্যে অন্যতম হচ্ছে “বসন্ত উৎসব”। তখন অবশ্য ঋতুর নাম এবং উৎসবের ধরণটা এখনকার মতো ছিল না। তাই পহেলা ফাল্গুন বা বসন্ত উৎসব কেবল উৎসবে মেতে ওঠার সময় নয়। এর সঙ্গে জড়িয়ে আছে বাংলার গৌরবময় ঐতিহ্য, বাঙালিসত্তা।
বঙ্গাব্দ ১৪০১ সাল থেকে প্রথম ‘বসন্ত উৎসব’ উদযাপন করার রীতি চালু হয়। সেই ধারাবাহিকতায় জাতীয় বসন্ত উৎসব উদযাপন পরিষদ “বসন্ত উৎসব” আয়োজন করে আসছে। এসবের সাথে আয়োজনের পরিধিতে দিনে দিনে যুক্ত হচ্ছে নতুন পোশাক, ঘুরাফেরা আর ক্ষেত্র বিশেষ খাওয়া-দাওয়া। কিশোর-কিশোরী আর তরুণ-তরুণীদের আড্ডা তো আছেই।
সব মিলিয়ে বসন্তের রঙেই আরো রঙিন হয়ে উঠে ভালবাসা। প্রকৃতির রংয়ে মানুষ পায় প্রাণের ছোঁয়া। নব উদ্যোম। সবাইকে ফাল্গুনী হাওয়ায় উষ্ণ ভালবাসা, শুভ বসন্তৃ