প্রকাশিত: ১২:২৪ পূর্বাহ্ণ, ২৬ জুন ২০২১
ছবি: প্রতিনিধি
মাদক নির্মূলে জিরো টলারেন্স নীতি নিয়ে এগিয়ে যাচ্ছেন ময়মনসিংহের গৌরীপুর উপজেলা নির্বাহী অফিসার হাসান মারুফ।
তিনি এ উপজেলায় যোগদানের পর থেকে ভ্রাম্যমান আদালত পরিচালনার মাধ্যমে একের পর এক মাদক কারবারি ও সেবীদের বিভিন্ন মেয়াদে কারাদন্ড ও অর্থদন্ড করে আসছেন। এতে স্থানীয় মাদকসেবী ও কারবারিদের মাঝে আতঙ্ক সৃষ্টির পাশাপাশি তাদের দৌরাত্ম দিন দিন হ্রাস পাচ্ছে।
উপজেলা নির্বাহী অফিসার কার্যালয়ের অফিস সহকারি মোঃ রইছ উদ্দিন জানান, উপজেলা নির্বাহী অফিসার হাসান মারুফ স্যার গত বছর এউপজেলায় যোগদান করেন। তিনি যোগদানের পর মাত্র ৮ মাসে মাদকদ্রব্যের বিষয়ে ১৮ টি সফল মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করেন।
এতে মোট ৫৯ জন মাদকসেবী ও কারবারিদের বিভিন্ন মেয়াদে কারাদন্ড ও জরিমানা করা হয়েছে। এক্ষেত্রে সহযোগিতা করেন মাদক নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের ময়মনসিংহ বিভাগীয় গোয়েন্দা কার্যালয় ও জেলা কার্যালয়ের ‘খ’ সার্কেলের সদস্যগণ।
উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদের সাবেক কমান্ডার মোঃ আব্দুর রহিম মাদকের বিরুদ্ধে ইউএনও’র জিরো টলারেন্স নীতিকে সাধুবাদ জানিয়ে বলেন, পুলিশ বাহিনীর সদস্যরা মাদকসেবী ও কারবারিদের গ্রেফতার করে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানোর কয়েকদিনের মধ্যে তারা জামিনে বেড়িয়ে এসে পুনরায় মাদক সেবন এবং ব্যবসার সাথে জড়িয়ে পড়ে।
এক্ষেত্রে ইউএনও হাসান মারুফ’র পরিচালনায় ভ্রাম্যমান আদালতে মাদকসেবী এবং কারবারিদের বিভিন্ন মেয়াদে সাজা ও জরিমানা করায় স্থানীয়ভাবে তাদের দৌরাত্ম অনেকটা হ্রাস পেয়েছে। তিনি বলেন, মাদক নির্মূলে মোবাইল কোর্টে দন্ড প্রদান একটি কার্যকরী আইনি পদক্ষেপ। মাদকের বিরুদ্ধে ইউএনও’র অভিযান আরও জোরদার করার দাবি করেন তিনি।
উপজেলা নির্বাহী অফিসার হাসান মারুফ বিডি২৪লাইভ কে বলেন, মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশ দ্রুত গতিতে উন্নয়নের দিকে এগিয়ে যাচ্ছে। মাদকের ছোবলে নষ্ট হচ্ছে দেশের মেধাবী তরুণ ও যুব সমাজ।
মাদক পরিবার,সমাজকে ধীরে ধীরে নিঃশেষ করে দেয়। তাই মাদকের বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোষণা করে মাদক নির্মূলে সমাজের সকলকে এগিয়ে আসতে হবে।
তিনি বলেন, গৌরীপুর উপজেলায় স্থানীয় মাদকসেবী ও কারবারিদের ধরতে অভিযান অব্যাহত থাকবে। এক্ষেত্রে তাদেরকে কোন প্রকার ছাড় দেয়া হবে না বলেও জানান তিনি।
নাঈম/নিএ