মঙ্গলবার, ৩০ মে ২০২৩, ০৭:২৫ অপরাহ্ন
শিরোনাম
অভিনয় ছাড়লেন দীপিকা ভোজপুরি গানে উদ্দাম ড্যান্স দিয়ে ঝড় তুললো সুন্দরী যুবতী ‘আমি কেন দায়ী হবো পরিমণির সংসার ভাঙ্গার জন্য’ প্রকাশ্যে আসা ভিডিও নিয়ে সুনেরাহর হুঁশিয়ারি নেটফ্লিক্স এ চলে এলো নতুন ওয়েব সিরিজ, ভুলেও কারও সামনে দেখবেন না ফাঁস হওয়া ছবি-ভিডিওর জন্য পরীকেই দোষারোপ করেছেন সুনেরাহ তিন অভিনেত্রীর সঙ্গে গোপন ভিডিও ফাঁস, সাইবার ক্রাইমে শরীফুল রাজ ছাত্রীকে ধর্ষণ চেষ্টার প্রতিবাদে শিক্ষার্থীদের ঘন্টাব্যাপী বিক্ষোভ মানববন্ধন রামপালে প্রধানমন্ত্রীকে হত্যার হুমকির প্রতিবাদে বিক্ষোভ মিছিল ও প্রতিবাদ সমাবেশ মোরেলগঞ্জে ছাত্রীকে ধর্ষণ চেষ্টার প্রতিবাদে শিক্ষার্থীদের বিক্ষোভ

জনপ্রিয় হচ্ছে শরণখোলায় তৈরী মাছ শিকারের খাঁচা!

  • Update Time : সোমবার, ২৮ জুন, ২০২১
মাছধরার খাঁচা
মাছধরার খাঁচা

সুন্দরবন ডেক্স: চলতি বর্ষা মৌশুমে ব্যপক বৃষ্টিপাতে মাঠ ঘাট পানিতে ভরে গেছে। যার ফলে (মাছধরার খাঁচা) চাই তৈরী ও বিক্রয় বেড়েছে শরনখোলা উপজেলার কদমতলা গ্রামের চাই তৈরীর কারখানা গুলোতে। হঠাৎ করে খাঁচা বিক্রি বেড়ে যাওয়ায় চাই তৈরী কারিকরদের মুখে হাসি ফুটে উঠেছে।

তাই এখন অনেকটা ব্যস্ত সময় পার করছেন শরণখোলা উপজেলার উত্তর কদমতলা গ্রামের (মাছ ধরার খাঁচা) চাঁই ব্যবসায়ীরা। উত্তর কদমতলা গ্রামের চাঁই ব্যবসায়ী জামাল মুন্সি বলেন, বছরের বৈশাখ, জৈষ্ঠ্য ও আষাঢ় এ তিন মাস আমি দেশিয় বিভিন্ন প্রজাতির মাছ ধরার চাই বা খাঁচার ব্যবসা করি। তবে, বিক্রির আগে মাঘ মাসে উপজেলার বিভিন্ন এলাকা থেকে বাঁশ ও অন্যান্য উপকরণ কিনে চাঁই বুনানোর কাজ হাতে নেই।

৩ থেকে ৪ মাসে এক হাজারের বেশি চাঁই তৈরী করি। যখন জৈষ্ঠ্য-আষাঢ মাসের বৃষ্টিতে মাঠ ঘাট পানিতে তলিয়ে গেলে তখনই সেই খাঁচা গুলো বেচা কেনার ধুম পড়ে যায়। উপজেলার চার ইউনিয়নের বিভিন্ন বহু মানুষ চাঁই কিনে নিয়ে খাল বিল মাঠ ঘাটে পেতে মাছ ধরেন।

মাছধরার খাঁচা

মাছধরার খাঁচা

তিনি বছরে দুই থেকে আড়াই লাখ টাকার চাঁই বিক্রি করেন। এতে তার প্রায় লাখ টাকা লাভ হয় । আর ওই টাকায় সংসার চালান। তবে, চলতি বছর খরা ও বৃষ্টিপাত কম হওয়ায় মাঠে ঘাটে পানি না ওঠায় শুরুতে চাঁই তেমন বিক্রি করতে পারি নাই। এনজিওর কাছে কিছু টাকা ঋণগ্রস্ত হয়ে আছি। তবে, হঠাৎ করে বৃষ্টিপাত বেড়ে যাওয়ায় তিনি সহ ওই এলাকার সব ব্যবসায়ীদের বেচা-কেনা খুব ভালো হচ্ছে। ব্যবসায়ী হালিম হাওলাদার, জামাল হাওলাদার, হাবিব হাওলাদার, নেছার হাওলাদার, হেলাল হাওলাদার ও হারুন মুন্সি সহ একাধিক ব্যবসায়ী বলেন, এ গ্রামে প্রায় অর্ধশত পরিবার ৩০ বছর ধরে মাছ ধরার (খাঁচা) চাঁই তৈরী করে আসছেন।

শরনখোলা উপজেলা ছাড়া পার্শ্ববর্তী মোড়েলগঞ্জ, সন্যাসী, তুষখালী, মঠবাড়ীয়া, ভান্ডারিয়া সহ দেশের বিভিন্ন অঞ্চল থেকে লোক এসে পাইকারী দরে হাজার হাজার চাঁই কিনে নিয়ে যায়। একটি চাঁই ১শ টাকা থেকে ১শ ২০ টাকা দরে বিক্রি হয়। বছরে এখানে ২৫/৩০ লাখ টাকার চাঁই বেচাকেনা হয়ে থাকে। তবে, আমরা (ব্যাবসায়ীরা) এনজিও এবং মহাজনের কাছ থেকে চড়া সুদে ঋণ নিয়ে কাঁচামাল চাঁই বানানোর উপকরণ কিনে থাকি। তাদের দাবী বিনা সুদে ঋণ পেলে এ শিল্পকে আরো উন্নত করতে পারবেন তারা।

Please Share This Post in Your Social Media

More News Of This Category

Recent Posts

© 2023 sundarbon24.com|| All rights reserved.
Designer:Shimul Hossain
themesba-lates1749691102