প্রকাশিত: ৩:১৪ অপরাহ্ণ, ৩০ জুন ২০২১
করোনাভাইরাসের সংক্রমণ ঠেকাতে বৃহস্পতিবার থেকে ৭ দিনের শাটডাউনে বন্ধ থাকবে যন্ত্রচালিত সব যানবাহন। এ সময় সড়ক, রেল, নৌ ও অভ্যন্তরীণ ফ্লাইটসহ সব গণপরিবহনও বন্ধ থাকবে। যন্ত্রচালিত যান না হওয়ায় রিকশা চলাচলের অনুমতি দিয়েছে সরকার। মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ থেকে বুধবার দেয়া প্রজ্ঞাপনে বলা হয়, বৃহস্পতিবার সকাল ৬টা থেকে ৭ জুলাই মধ্যরাত পর্যন্ত এই বিধিনিষেধ কার্যকর থাকবে। এ সময় সড়ক, রেল ও নৌপথে গণপরিবহনসহ যন্ত্রচালিত যানবাহন বন্ধ থাকবে। আইনশৃঙ্খলা ও জরুরি পরিষেবায় জড়িত ব্যক্তিদের এই বিধিনিষেধের বাইরে রাখা হয়েছে।
প্রজ্ঞাপনে বলা হয়, কৃষিপণ্য ও উপকরণ (সার, বীজ, কীটনাশক, কৃষি যন্ত্রপাতি ইত্যাদি), খাদ্যদ্রব্য ও খাদ্যশস্য পরিবহন, ত্রাণ বিতরণ, স্বাস্থ্যসেবা, কোভিড-১৯ টিকাদান, রাজস্ব আদায়-সম্পর্কিত কার্যাবল যেমন, বিদ্যুৎ, পানি, গ্যাস বা জ্বালানি, ফায়ার সার্ভিস, টেলিফোন ও ইন্টারনেট (সরকারি-বেসরকারি), গণমাধ্যম (প্রিন্ট ও ইলেকট্রনিক মিডিয়া), বেসরকারি নিরাপত্তাব্যবস্থা, ডাক সেবা, ব্যাংক, ফার্মেসি ও ফার্মাসিটিক্যালস অন্য জরুরি ও অত্যাবশকীয় পণ্য এবং সেবার সঙ্গে সংশ্লিষ্ট অফিসগুলোর কর্মচারীরা প্রাতিষ্ঠানিক পরিচয়পত্র দেখিয়ে যাতায়াত করতে পারবেন।
মানুষের দৈনন্দিন চাহিদা মেটাতে খোলা থাকবে কাঁচাবাজার। কিন্তু সকাল ৯টা থেকে বিকেল ৫টা পর্যন্ত খোলা জায়গায় স্বাস্থ্যবিধি মেনে কেনাবেচা করতে হবে। এই নির্দেশনা বাস্তবায়নে সংশ্লিষ্ট বাণিজ্য সংগঠন, বাজার কর্তৃপক্ষ, স্থানীয় প্রশাসনকে দায়িত্ব দিয়েছে সরকার। ফলে ওষুধ ও নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্য কিনতে এবং চিকিৎসাসেবা, মৃতদেহ দাফন বা সৎকারের জন্য বাড়ির বাইরে যাওয়া যাবে।
যারা করোনাভাইরাস প্রতিরোধে টিকা নেবেন, তারা টিকা কার্ড দেখিয়ে বাইরে বের হতে পারবেন। আর খাবারের দোকান, হোটেল, রেস্তোরাঁ সকাল ৮টা থেকে রাত ৮টা পর্যন্ত খাবার বিক্রি (অনলাইন/টেকওয়ে) করতে পারবে। আন্তর্জাতিক ফ্লাইট চালু থাকায় বিদেশগামী যাত্রীরা তাদের আন্তর্জাতিক ভ্রমণের টিকিট দেখিয়ে গাড়ি নিয়ে যাতায়াত করতে পারবে।