প্রকাশিত: ১১:৩৬ অপরাহ্ণ, ৩ জুলাই ২০২১
আখলাকুজ্জামান, গুরুদাসপুর (নাটোর) থেকে: নাটোরের গুরুদাসপুর উপজেলার বিয়াঘাট ইউনিয়নে তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে স্বামী-স্ত্রীকে লাঠি দিয়ে বেধরক মারপিট করে গুরুতর জখম করেছে প্রতিপক্ষ। গুরুতর অবস্থায় আহত কোহিনুর বেগম (৪৮) ও জবান আলীকে (৫২) উদ্ধার করে গুরুদাসপুর হাসপাতালে ভর্তি করেছেন তার আত্বীয়রা। শুক্রবার (২ জুলাই) বেলা ১২টার দিকে উপজেলার বিয়াঘাট ইউনিয়নের দুর্গাপুর ভিটাপাড়া গ্রামে ওই ঘটনা ঘটে।
স্থানীয় সুত্রে জানা যায়, গত শুক্রবার সকালে জবান আলী ও তার স্ত্রী কোহিনুর বেগম তাদের জমির সামনে কালভার্টের মুখে ময়লা আবর্জনা ঠেকাতে বেড়া দেওয়ার চেষ্টা করছিলেন। বন্যার পানির সাথে তাদের জমিতে যেন কচুরিপানা না প্রবেশ করে সেজন্য সকাল থেকেই তারা বাঁশ দিয়ে কচুরিপানা ঠেকানোর কাজ করছিলেন। এ সময় পার্শবর্তী জমির মালিক নাজিম ও তার স্ত্রী সফুরা বেগম বেড়া দিতে নিষেধ করলে তাদের মধ্যে বাকবিতন্ডা বেধে যায়। এক পর্যায়ে নাজিম উদ্দিন ও তার স্ত্রী দুজন মিলে লাঠি দিয়ে কোহিনুর বেগম ও তার স্বামী জবান আলীকে আঘাত করেন। ঘটনার পর তার আত্বীয় স্বজনরা তাদের উদ্ধার করে গুরুদাসপুর স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স ভর্তি করেন।
গুরুদাসপুর হাসপাতালের জরুরি বিভাগের চিকিৎসক আরিফা আফরোজ বানু জানান, কহিনুরের অবস্থা আশঙ্কাজনক। তার মাথায় ৬টা সেলাই দেওয়া হয়েছে। জবানের বাম হাতে তিনটা সেলাই দেওয়া হয়েছে। বর্তমানে দুজনই চিকিৎসাধীন রয়েছেন।
আহত জবানের বড় মেয়ে রশনারা জানান, এ ব্যাপারে বিবাদী নাজিম উদ্দীন ও তার স্ত্রী সফুরাকে আসামী করে গুরুদাসপুর থানায় অভিযোগ করা হয়েছে। এ ঘটনায় অভিযুক্তদের সাথে যোগাযোগের চেষ্টা করলে তাদের পাওয়া যায়নি। এ ব্যাপারে গুরুদাসপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ওসি মো. আব্দুর রাজ্জাক জানান, অভিযোগ পেয়েছি। তদন্ত সাপেক্ষে আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে।