কোরবানির গরু সংগ্রহ নিয়ে বিপাকে আছেন ব্যাপারীরা। আসন্ন কোরবানির ঈদকে সামনে রেখে প্রত্যেক বছর দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে গরু সংগ্রহ করে থাকেন ব্যাপারীরা। তবে এবার করোনা সংকটের কারণে এবার স্থানীয়ভাবে কোনো হাট বসছে না। তাই কোরবানির জন্য গরু সংগ্রহ করতে পারেননি।
গাবতলী পশুর হাটে ব্যাপারীরা জানান, লকডাউন আরো এক সপ্তাহ বাড়ানো হয়েছে। করোনা সংকটের কারণে বাজার কেমন হবে বোঝা যাচ্ছে না। ফলে গৃহস্থের বাড়ি থেকে গরু সংগ্রহ করা কঠিন হয়ে পড়েছে।
ব্যাপারী নূর উদ্দিন বলেন, প্রত্যেক বছর কোরবানির ঈদে শতাধিক গরু ঢাকায় বিক্রি করেন তিনি। কিন্তু এবার স্থানীয় হাট বন্ধ থাকায় তিনি একটিও গরু কিনতে পারেননি। একটা দিনের জন্য অপেক্ষা করি সেটা হলো কোরবানির ঈদ। কিন্তু কোরবানির ঈদ উপলক্ষে একটি গরুও কেনা হয়নি। এবার হাট বসবে কিনা আমরা অনিশ্চয়তায় আছি।
গো খাদ্যের দাম বাড়ার কারণে এবার কোরবানির পশুর দাম চড়া। সাধারণ কসাইয়ের হিসাবে গরুর বাজার চলছে ২৪ হাজার টাকা মণ। সেই হিসেবে মাংসের কেজি পড়ে ৬শ টাকা। তার মানে তিন মণ ওজনের একটি গরু কোরবানি দিতে হলে গুনতে হবে অন্তত ৭২ হাজার টাকা।
অপরদিকে চুয়াডাঙ্গা আলমডাঙ্গার শহিদুল ব্যাপারী গত কোরবানির ঈদে ২০টি গরুতে তিন লাখ টাকা লাভ করেছিলেন। এই আশায় এবার ৩৫টি গরু কিনে রেখেছেন। কিন্তু তিনি বিপাকে লকডাউন নিয়ে। সামনে হাট বসবে কিনা এবং মানুষ বাজারে আসবে কিনা এই নিয়ে দুশ্চিন্তায় আছেন তিনি।
আরও পড়ুনঃ পাবনায় পানির দরে বিক্রি হচ্ছে দুধ, লোকসানে বিপর্যস্ত খামারিরা
ডেইরি প্রতিবেদন / আধুনিক কৃষি খামার