গাজীপুরের ড্রাগন চাষে ৩ বন্ধুর সাফল্য এসেছে। গাজীপুরের শ্রীপুরে শখের বসে প্রথমে তিন বন্ধু শখের বশে শুরু করেন ড্রাগন চাষ। পরে বাণিজ্যিকভাবে এ ফলের চাষ শুরু করেন তারা। সময়ের প্রয়োজনে লাভজনক ফসল উৎপাদনে আগ্রহী হয়ে উঠেছেন তারা। এখানকার মাটি ড্রাগন ফল চাষের জন্য খুবই উপযোগী।
জানা যায়, শ্রীপুরের বরমী ইউনিয়নের গাড়ারন এলাকায় তিন ইঞ্জিনিয়ার বন্ধু মনিরুল হক, আলী হায়দার ও আশরাফ হোসেন মিলে ৭৮ শতাংশ জমিতে এ ফলের চাষ শুরু করেন। তারা তিন বছর ধরে চাষ করছেন। ড্রাগন ফল দেখতে অত্যন্ত আকর্ষণীয় ও মনোমুগ্ধকর। পাতাবিহীন এই ফলটি দেখতে ডিম্বাকার ও লাল রঙের। এই রূপকথার ড্রাগনের মতো কিছুটা মিল থাকার জন্য একে ড্রাগন ফল বলে। এটি প্রচুর ভিটামিন সি, মিনারেল এবং উচ্চ ফাইবার যুক্ত।
মনিরুল হক বলেন, বর্তমানে আমাদের বাগানে প্রায় ৫ হাজার ড্রাগন ফলের গাছ রয়েছে। এতে খরচ হয়েছে প্রায় ১৬ থেকে ১৭ লাখ টাকা। প্রতিটি গাছেই ফল আসা শুরু করেছে। আশা করছি এবছর ৬ থেকে ৭ টন ফল সংগ্রহ করা যাবে। যার প্রতিটন ফলের বাজার মূল্য রয়েছে ২ লাখ ৫০ হাজার থেকে ২ লাখ ৬০ হাজার টাকার মধ্যে।
উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবিদ মূয়ীদুল হাসান বলেন, দুই ধরনের ড্রাগন ফলের চাষ হচ্ছে শ্রীপুরে। তারমধ্যে একটি ভেতরে বেগুনী বর্ণের, এটি খেতে অনেক মিষ্টি, আর অন্যটি ভিতরে সাদা বর্ণের, এটি খেতে নোনতা নোনতা লাগে। দেশে বাণিজ্যিকভাবে এফল চাষ হলে বাইরের দেশ থেকে আর আমদানি করতে হবে না বলেও জানান ওই কৃষি কর্মকর্তা ।