পানিকচুর বাম্পার ফলনেও হতাশ দিনাজপুরের কৃষকরা। দিনাজপুরের খানসামা উপজেলায় প্রথমবারের মতো উত্তর কোরিয়ার হাইব্রিড এন কে-ওয়ান জাতের পানিকচু চাষ করা হয়েছে। আবহাওয়া ও জমি চাষের উপযোগী হওয়ায় ফলনও বেশ ভালো হয়েছে। তবে করোনা ভাইরাসের প্রাদুর্ভাব আর লকডাউনের কারণে বর্তমানে পানিকচু বিক্রি বাধাগ্রস্ত হওয়ায় হতাশা হয়েছেন কচুচাষি আলমগীর।
কৃষক আলমগীর হোসেন বলেন, আমি উত্তরা ইপিজেড-এ একটি কোম্পানিতে কাজ করি। সেখানকার একজন কর্মকর্তা উত্তর কোরিয়া যাতায়াত করেন। আমি তার মাধ্যমে কোরিয়া থেকে উন্নত জাতের এ কচুর চারা সংগ্রহ করে চাষ করছি। আমাকে সার্বক্ষণিক সহযোগিতা করছেন উপ-সহকারী কৃষি অফিসার কামরুজ্জামান।
নভেম্বর মাসে লাগানো এসব পানিকচু বিক্রির উপযোগী হয়ে উঠেছে। প্রতিটি কচু উচ্চতা হয়েছে ১০ থেকে ১২ ফুট আর ওজন হয়েছে ১৫ থেকে ২০ কেজি করে। একটি পরিপূর্ণ কচুর ওজন হয় ৩৫ থেকে ৪০ কেজি পর্যন্ত।
এসব কচুর কাণ্ড, লতি আর শুকনো ডাটা উত্তর কোরিয়াতে রপ্তানি করার কথা রয়েছে। কিন্তু করোনা পরিস্থিতির কারণে রপ্তানিতে সমস্যার সৃষ্টি হয়েছে। তবে এ পর্যন্ত চারা বিক্রি হয়েছে ৪০ হাজার টাকা, কচুর লতি ৩৮ হাজার টাকা এবং ফুল বিক্রি হয়েছে ৫ হাজার টাকা।
কৃষি অফিসার বাসুদেব রায় জানান, স্থানীয় জাতের চেয়ে হাইব্রিড জাতের পানিকচুর ফলন ভালো হয়। আলমগীর হোসেনের ক্ষেতে পানিকচুর ফলন ভালো হয়েছে। আমরা উপজেলা কৃষি অফিসের মাধ্যমে অন্যান্য চাষির মাঝে চারা সরবরাহ করেছি।
আরও পড়ুনঃ মাশরুম চাষে স্বাবলম্বী সাভারের সবুর খান, মাসিক আয় ৪০ হাজার টাকা
কৃষি প্রতিবেদন / আধুনিক কৃষি খামার