মাশরুম চাষে ব্যাপক সফলতার পাশাপাশি স্বাবলম্বী হয়েছেন ঢাকা সাভারের সবুর খান। নিজে স্বাবলম্বী হওয়ার পাশাপাশি আরও কয়েকটি পরিবারের কর্মসংস্থান তৈরি করেছেন। মাশরুমের চাষ করে এলাকায় বেশ জনপ্রিয়তা পেয়েছেন তিনি।
তার চাষ করা মাশরুম এলাকার চাহিদা মিটিয়ে এখন যাচ্ছে আশেপাশের জেলা শহরগুলোতেও। শুরুটা হয়েছিল শখ থেকে এখন তিনি বাণিজ্যিকভাবেই মাশরুমের চাষ করছেন। তার এই সফলতা দেখে অনেকেই এখন মাশরুম চাষে আগ্রহী হয়ে উঠছেন।
সবুর খান ২০০৮ সালে মাশরুম সেন্টার থেকে তিন দিনের প্রশিক্ষণ নিয়ে মাশরুশ চাষ শুরু করেন। প্রথম বছর সাফল্য না এলেও পরের বছর থেকে সাফল্য পেতে শুরু করেন।
সবুর খান বলেন, স্বল্প পরিসরে শুরু করলেও এটিকে তিনি এখন বাণিজ্যিকভাবে নিয়েছেন। বর্তমানে প্রতিমাসে লাখ টাকার ওপরে মাশরুম বিক্রি করি। আর খরচ হয় ৬০ হাজার টাকার মত। মাসে লাভ থাকে ৪০ হাজার টাকার মতো।
তিনি আরো বলেন, একটি মাশরুমের পলিথিনে মোড়ানো একটি বিজ তৈরি থেকে উৎপাদন খরচ পরে ১৩-১৪ টাকা। সেখান থেকে মাশরুম পাই ৪০-৫০ টাকার। আর একটি বীজ চারমাস পর মাশরুম দেয়। একটি বীজ থেকে দুই পাশ থেকে দুইবার মাশরুম পাওয়া যায়। জাতভেদে প্রতি কেজির বাজার মূল্য কাঁচা মাশরুম ২৫০-৩০০ টাকা এবং শুকনো ১২০০ থেকে ৩০০০ পর্যন্ত।
এ প্রসঙ্গে মাশরুম ইনস্টিটিউটের সাবেক উপ-পরিচালক ড. নিরোদ চন্দ্র জানান, মাশরুম চাষ একটি লাভজনক কৃষি। বর্তমান সময়ে মাশরুমের ব্যাপক চাহিদা সৃষ্টি হয়েছে। দেশের কৃষক, বেকার যুবক ও গৃহবধূদের মাশরুম চাষের ব্যাপারে উৎসাহিত করার মাধ্যমে এর চাষ সারাদেশে ছড়িয়ে দিতে তিনি ইনস্টিটিউটের সাথে কাজ করছেন বলেও জানিয়েছেন।