বগুড়ায় পোলট্রি খামারে সফল প্রতিবন্ধী রুহুল আমিন। নিজের অদম্য ইচ্ছা শক্তিতেই পঙ্গুত্বকে জয় করে হয়েছেন স্বাবলম্বী। ৮ বছরের ব্যবধানে চারটি খামার করে ১১ হাজার সোনালী জাতের মুরগির মালিক হয়েছেন তিনি। সেসব মুরগি দেখভালের জন্য খামারে ৩ জন্ কর্মচারিও রেখেছেন। তাকে দেখে অনেকেই অনুপ্রাণিত হচ্ছেন।
জানা যায়, খামারি রুহুল আমিনের ৭ বছর বয়সে ভুল চিকিৎসায় দুই পা পঙ্গু হয়ে যায়। তখন থেকেই জীবন নিয়ে সংগ্রাম শুরু হয় তার। নিজ সন্তানদের শিক্ষিত করার স্বপ্ন দেখেন তিনি। তবে ব্যবসা করতে না পারলে তার সে স্বপ্ন হয়তো অধরাই থেকে যাবে। করোনার আগে প্রতি হাজার মুরগি বিক্রি করে ১৫ থেকে ২০ হাজার টাকা লাভ হতো।
রুহুলের মুরগির খামারে পরম মমতা সহকারে মুরগি লালন-পালন করা হয়। তিনি নিজেও যেমন মুরগির যত্ন নেন, কর্মচারিরাও তেমনি যত্নের সাথে মুরগির পরিচর্যা করেন। করোনার কারণে মুরগির দাম কমে গেছে। যদিও খুচরা বাজারে লকডাউনের দোহাই দিয়ে বরং দাম বেশিই রাখা হয়। তবে সেসব সুবিধা খামারিরা পান না।
করোনায় মুরগির ব্যবসায় অন্যান্য খামারির মতো রুহুল আমিনও ক্ষতির শিকার হয়েছেন। সেই ক্ষতি পুষিয়ে নিতে জেলা প্রাণি সম্পদ অধিদপ্তর থেকে তাকে প্রনোদনাও দেওয়া হয়েছে।
বরং স্বাবলম্বি হয়ে- মাথা উঁচু করেই বেঁচে থাকতে চান রুহুল আমিন। মুরগির খামার করেই বাকি জীবন কাটানোর ইচ্ছে তার। তাই লোকসান কাটিয়ে স্বচ্ছলতা ফেরাতে সরকারের কাছে সহজ শর্তে ঋণ আবেদন করছেন তিনি।
আরও পড়ুনঃ ব্রয়লার খামারে রোগ নিয়ন্ত্রণে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থাপনা
পোলট্রি প্রতিবেদন / আধুনিক কৃষি খামার