গরু বিক্রি নিয়ে দুশ্চিন্তায় পটুয়াখালীর খামারিরা। দেশে চলমান করোনা মহামারীতে দুশ্চিন্তায় পড়েছেন পটুয়াখালী বাউফলের প্রায় ৬০০ খামারি। খামারিরা এক বছর ধরে এসব খামারে গরু লালন পালন করে আসছেন পবিত্র ঈদুল আযহায় বেশি দামে বিক্রির জন্য। কিন্তু মহামারি করোনা ভাইরাসের কারনে গরু বিক্রি করা নিয়ে সকল খামারি পড়েছেন চরম বিপাকে।
জানা যায়, প্রতি ঈদেই গরু বিক্রি করেছেন। তাদের খামারে বর্তমানে ১৩টি গরু ঈদুল আযহায় বিক্রয় করা যাবে। যার এক একটির দাম ৯০ হাজার হতে ১ লক্ষ ২৫ হাজার টাকার উপরে। সামনে পবিত্র ঈদুল আযহা তাই শেষ সময়ে এসে গরুকে খাওয়ানো গোসলসহ সব ধরনের কাজ চলছে খুব যতœসহকারে। কিন্তু যখনই করোনার কথা মনে হচ্ছে তখনই যেন চরম হতাশা নেমে আসছে তার মাঝে।
খামারি আনিছুর বলেন, তাঁর খামারে ৯০ হাজার থেকে ৬ লাখ টাকা দামের গরু রয়েছে। সব মিলিয়ে প্রায় ৬০ লক্ষ টাকার গরু আছে তার খামারে। সরকার যদি লকডাউন ছাড়ে এবং বাজার ভাল থাকে, তাহলে এবছর লাভের মুখ দেখতে পারেন বলে আশা করেন তিনি। গরুর খামারে ব্যাপক ব্যয় হয়েছে। কারণ গো-খাদ্যের দাম আকাশ ছোয়া। ১ বস্তা মুগের ভুষির দাম ১২০০ টাকা, গমের ভুষির দাম ১ হাজার ৫০ টাকা। যা গত বছরের চেয়ে মন প্রতি ১০০ টাকা বেশি।
খামারি হাবিবুল্লাহ জানান, কুরবানির ঈদে সব গরু বিক্রি করতেই হবে। তা না হলে এই গরুতে লোকসান গুনতে হবে বলে তিনি মনে করছেন। তার মত উপজেলার অধিকাংশ গরুর খামারিরা মহাদুশ্চিন্তায় দিনাতিপাত করছেন। স্বাস্থ্যবিধি মেনে অন্য বছরের মত এ বছরও দেশের প্রতিটি স্থানে গরু হাট বসানোর দাবি করেছেন গরু খামারীরা।
উপজেলার প্রাণিসম্পদ অফিসার হাফিজুর রহমান বলেন, মহামারি করোনার কারণে গরু বিক্রি নিয়ে খামারিরা কিছুটা চিন্তায় আছেন। তবে আমি বিশ্বাস করি শেষ পর্যন্ত খামারিরা তাদের পশু সঠিক দামেই বিক্রি করতে পারবেন।
আরও পড়ুনঃ দুধ নিয়ে বিপাকে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার খামারিরা
ডেইরি প্রতিবেদন / আধুনিক কৃষি খামার