চাঁপাইনবাবগঞ্জে বিক্রির জন্য প্রস্তুত দেড় লাখেরও বেশি পশু। কঠোর লকডাউনে কোরবানির পশু বিক্রি নিয়ে দুশ্চিন্তায় পড়েছেন চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলার কয়েকশ খামার মালিক। সারা বছর খামারে পরিশ্রম ও বিপুল অর্থ বিনিয়োগ করার পর এখন পশুর বাজার ও দাম নিয়ে শঙ্কায় রয়েছেন তারা।
খামারি জুলফিকার বলেন, প্রতি বছর কোরবানির হাট শুরু হয় মাস দেড়েক আগে থেকেই। দেশের বিভিন্ন এলাকার ব্যাপারিরা বাড়ি বাড়ি ঘুরে গরু কেনেন। এবার তা দেখছি না। আমার ১০ মণের ওপরে হবে, এমন ৪টি গরু আছে। পোষা গরুগুলোর আশানুরুপ দাম না পেলে সব শেষ হয়ে যাবে আমার। ঈদের প্রায় সপ্তাহখানেক আগেই ঢাকার কোন এক পশুর হাটে গিয়ে বিক্রি করার ইচ্ছে রয়েছে আমার।
আরেক খামারি সাইদুল জানান, এবার কোরবানির ঈদের জন্য ১৫টি গরু ও ৭টি খাসি আমার খামারে আছে। গ্রামের যারা কোরবানিযোগ্য পশু খুঁজছেন তারা যোগাযোগ করে খামারে আসছেন। তারা খাসি আর গরু কেনার জন্য দামদর করছেন কিন্তু আশানুরুপ দাম না হওয়ায় বিক্রি করছি না। যদি পশুর হাট বসার নির্দেশনা দেয় তাহলে আশানুরুপ দাম পাবো, না হলেই গ্রামেই লোকসান করে বিক্রি করতে হবে।
জেলার প্রাণিসম্পদ অফিসার মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, এ বছর জেলায় বিভিন্ন খামারে কোরবানিযোগ্য পশু রয়েছে ১ লাখ ৬৩ হাজার ৭৮৬ টি। আর এ বছর কোরবানি জন্য পশুর চাহিদা আছে ১ লাখ ৩ হাজার ৭৭৮টি। খামারিদের অনলাইনে কোরবানিযোগ্য পশু বিক্রি করার জন্য উৎসাহিত করা হচ্ছে।
আরও পড়ুনঃ ডিজিটাল পশুর হাটে ১৪৫ কেজি ওজনের ছাগল, দাম সাড়ে ৩ লাখ…
ডেইরি প্রতিবেদন / আধুনিক কৃষি খামার