লোকসানের শঙ্কায় বাগেরহাটের পোলট্রি খামারিরা। করোনা ভাইরাসের প্রভাবে দেশের অন্যান্য স্থানের মতোই বাগেরহাটের পোলট্রি খামারিরা লোকসানের শঙ্কায় রয়েছেন। স্থানীয় পোল্ট্রি খামারি টিপুকে এখন লাভের বদলে গুনতে হচ্ছে লোকসান। মাত্র কয়েকদিন আগেও তার খামারে ছিল পাইকারদের আনাগোনা কিন্ত্র এখন সেখানে শুনসান নীরবতা। বাইরে চলছে কঠোর লক ডাউন। এ অবস্থায় খরিদদারের অভাবে মুরগি ও ডিম নিয়ে পড়েছেন বিপাকে।
জানা যায়, পোলট্রি খামারি টিপু প্রায় ১০ বিঘা জায়গার উপর পোল্ট্রি খামারসহ মাছের চাষ ও বিভিন্ন ফলের বাগান করেছেন। তার খামের প্রায় ৫ হাজার ব্রয়লার মুরগি রয়েছে। এতে কয়েক হাজার ডিম দেয় প্রতিদিন। এসব ডিম স্থানীয় পাইকাররা খামার থেকে কিনে নিয়ে যায়। কিন্তু চলমান লকডাউনে কোন পাইকার আসছে না খামারে। পাশাপাশি বাজারে ডিমের মন্দা দেখা দেওয়ায় এখন সঠিক দাম পাচ্ছেন না। বর্তমান ডিম বিক্রি করে লাভ দূরে থাক লোকসান গুনতে হচ্ছে তাকে।
স্থানীয় বাসিন্দা আবু সাঈদ বলেন, নাজমুল হক টিপু একজন পরিশ্রমী মানুষ। তিনি বেশ সুন্দর একটি ফলের বাগান, পোল্টিফার্ম ও মাছের খামার করেছেন। এখানকার ব্রয়লার ডিম ও মুরগীর মাংসের এলাকায় বেশ চাহিদা রয়েছে।
খামারি টিপু বলেন, অল্পদিনে খামার থেকে বেশ সফলতা পেয়েছেন কিন্তু চলমান লকডাউনের কারণে সব উন্নয়ন থমকে গেছে। গত বছর লকডাউনে তার ব্যাপক ক্ষতি হয়। এ লোকসান কিভাবে কাটিয়ে উঠবেন, এনিয়ে তিনি উৎকন্ঠিত। অনুরূপ বাগেরহাট জেলার শত শত পোল্ট্রি খামারী চরম উৎকন্ঠায় পড়েছেন।
জেলা প্রাণিসম্পদ অফিসার লুৎফর রহমান বলেন, দেশে কঠোর লকডাউনের কারণে দুর্গম এলাকার কতিপয় পোল্ট্রি খামারী সাময়িক অসুবিধায় পড়েছেন। তাদের প্রণোদনা সহায়তা করা হচ্ছে।
আরও পড়ুনঃ লক্ষ্মীপুরে ভুল চিকিৎসায় আড়াই হাজার মুরগির মৃত্যু
পোলট্রি প্রতিবেদন / আধুনিক কৃষি খামার