বুধবার, ০৭ জুন ২০২৩, ১১:৫৫ পূর্বাহ্ন
শিরোনাম
কবে, কোথায় আছড়ে পড়বে ঘূর্ণিঝড় ‘বিপর্যয়’? গোলাপি সাজে নেট দুনিয়ায় প্রভা ওমানে সকল প্রবাসী শ্রমিকদের জন্য নতুন নির্দেশনা দেশটির শ্রম মন্ত্রণালয়ের সবাই বলবে ‘এই মেয়েটা আসলে সংসার করতে পারে না’ আর্জেন্টিনায় বাংলাদেশের নামে ফুটবল ক্লাব প্রতিষ্ঠা বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্পোরেশন নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি ২০২৩-১৪১ টি শূন্য পদে নিয়োগ দেবে – চাকরির খবর ২০২৩ | বাংলাদেশের সকল সরকারি ও প্রাইভেট চাকরির খবর সিলেটে ট্রাক-পিকআপ সংঘর্ষে ১২ জনের প্রাণহানি অবশেষে পাঁচ দিনের মধ্যে বৃষ্টির পূর্বাভাস দিলো আবহাওয়া অধিদপ্তর চট্টগ্রাম প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (চুয়েট) নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি ২০২৩ – চাকরির খবর ২০২৩ | বাংলাদেশের সকল সরকারি ও প্রাইভেট চাকরির খবর বাংলাদেশ উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয় নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি ২০২৩

কত টাকা থাকলে কুরবানি দিতে হবে?

  • Update Time : শুক্রবার, ৯ জুলাই, ২০২১

ইসলাম ডেস্ক- কুরবানি আল্লাহ তাআলার নৈকট্য অর্জনের অনন্য মাধ্যম। এটি একটি আর্থিক ও আত্মিক ইবাদত। একনিষ্ঠ নিয়তে নির্ধারিত পরিমাণ সম্পদ বা টাকার মালিকের জন্য কুরবানি করা আবশ্যক। কিন্তু কী পরিমাণ সম্পদ বা টাকা থাকলে কুরবানি করা আবশ্যক?

কুরবানি বছরে একবার দিতে হয়; এ কারণেই অনেকেই জানে না যে, কী পরিমাণ সম্পদ বা টাকা থাকলে কুরবানি করা আবশ্যক। এ না জানার কারণে অনেকের ওপর কুরবানি আবশ্যক হওয়া সত্বেও কুরবানির মতো গু্রুত্বপূর্ণ ইবাদত থেকে বিরত থাকে। কী পরিমাণ টাকা বা সম্পদ থাকলে কুরবানি আবশ্যক; এ সম্পর্কে ইসলামিক স্কলারদের থেকে রয়েছে সুস্পষ্ট দিকনির্দেশনা।

‘পরিবারের খরচ মেটানোর পর যদি জিলহজ মাসের ১০, ১১ ও ১২ তারিখ নির্ধারিত পরিমাণ স্বর্ণ বা রুপা থাকে কিংবা নির্ধারিত পরিমাণ স্বর্ণ বা রুপার বাজার দর অনুযায়ী ৫০ হাজার থেকে ৪ লাখ টাকা থাকে ওই ব্যক্তির জন্য কুরবানি করা আবশ্যক।’

হিজরি বছরের জিলহজ মাসের ১০, ১১ ও ১২ তারিখ কুরবানির পশু জবাই করতে হয়। কুরবানি দেওয়ার জন্য শর্ত হলো এ দিনগুলোতে পরিবারের জীবিকা নির্বাহের খরচ ছাড়া অতিরিক্ত নিসাব (নির্ধারিত) পরিমাণ সম্পদ বা টাকার মালিক হলেই তার ওপর কুরবানি আবশ্যক।

সম্পদ বা টাকার নিসাব
সম্পদের নিসরাব হলো- সাড়ে ৭ তোলা স্বর্ণ বা এর সমমূল্য কিংবা সাড়ে ৫২ তোলা রুপা কিংবা তার সমমূল্যের সম্পদ থাকা। আর কুরবানি আবশ্যক হওয়ার জন্য এ পরিমাণ টাকা বা সম্পদ এক বছর মালিকানাধীন থাকতে হবে এমন কোনো শর্ত প্রযোজ্য নয়।

১. স্বর্ণের নিসাব ও মূল্যের বিবরণ
কেউ যদি স্বর্ণকে নিসাব ধরে তবে তাকে সাড়ে ৭ ভরি/তোলা স্বর্ণের মূল্যের উপর টাকার পরিমাণ হিসাব করতে হবে। যেমন চলতি বছরের জুন মাসের হিসাব অনুযায়ী-
২২ ক্যারেট স্বর্ণের প্রতি ভরির (১১ দশমিক ৬৬৪ গ্রাম) দাম- ৭২ হাজার টাকা হিসাবে সাড়ে ৭ ভরি স্বর্ণের দাম- ৫ লাখ ৪০ হাজার টাকা।

২১ ক্যারেট স্বর্ণের প্রতি ভরির (১১ দশমিক ৬৬৪ গ্রাম) দাম ৬৯ হাজার টাকা হিসাবে সাড়ে ৭ ভরি স্বর্ণের দাম- ৫ লাখ ১৭ হাজার ৫০০ টাকা।

১৮ ক্যারেটের স্বর্ণের প্রতি ভরির (১১ দশমিক ৬৬৪ গ্রাম) দাম ৬০ হাজার টাকা হিসাবে সাড়ে ৭ ভরি স্বর্ণের দাম- ৪ লাখ ৫০ হাজার টাকা।

সনাতন পদ্ধতির প্রতি ভরি স্বর্ণের দাম- ৪৯ হাজার ৫০০ টাকা হিসাবে সাড়ে ৭ ভরি স্বর্ণের দাম- ৩ লাখ ৭১ হাজার ২৫০টাকা (স্বর্ণের এ দাম ওঠা নামা করতে পারে। সেক্ষেত্রে বাজার দর হিসাব করে নিসাব নির্ধারণ করতে হবে।)

সুতরাং যারা স্বর্ণের নিসাবে কুরবানি করবেন, তাদের জন্য প্রায় ৪ লাখ টাকা বা সম্পদ জিলহজ মাসের ১০-১২ তারিখ (এ তিন দিন) তাদের মালিকানায় থাকলে তার জন্য কুরবানি দেওয়া আবশ্যক।

২. রুপার নিসাব ও মূল্যের বিবরণ:-

কেউ যদি রুপাকে নিসাব ধরে তবে তাকে সাড়ে ৫২ ভরি/তোলা রুপার মূল্যের উপর টাকার পরিমাণ হিসাব করতে হবে। যেমন চলতি বছরের জুন মাসের হিসাব অনুযায়ী-
২২ ক্যারেটের প্রতি ভরি রুপার মূল্য ১ হাজার ৫১৬ টাকা হিসাবে সাড়ে ৫২ তোলা রুপার দাম হয়- ৭৯ হাজার ৫৯০ টাকা।

২১ ক্যারেটের প্রতি ভরি রুপার দাম ১ হাজার ৪৩৫ টাকা হিসাবে সাড়ে ৫২ তোলা বা ভরির দাম হয়- ৭৫ হাজার ৩৩৭ টাকা পঞ্চাশ পয়সা।

১৮ ক্যারেটের প্রতি ভরি রুপার দাম ১ হাজার ২২৫ টাকা হিসাবে সাড়ে ৫২ তোলা/ভরির দাম হয়- ৬৪ হাজার ৩১২ টাকা পঞ্চাম পয়সা। এবং
সনাতন পদ্ধতির প্রতি ভরি রুপার দাম ৯৩৩ টাকা হিসাবে সাড়ে ৫২ তোলা/ভরির দাম ৪৮ হাজার ৯৮২ টাকা পঞ্চাশ পয়সা।

তাই কারো কাছে যদি সর্বনিম্ন ৫০ হাজার টাকাও থাকে তবে তাকে রুপার নিসাব পরিমাণ অর্থের বিধান অনুযায়ী কুরবানি করতে হবে।

সুতরাং পরিবারের খরচ মেটানোর পর যদি জিলহজ মাসের ১০, ১১ ও ১২ তারিখ নির্ধারিত পরিমাণ স্বর্ণ বা রুপা থাকে কিংবা নির্ধারিত পরিমাণ স্বর্ণ বা রুপার বাজার দর অনুযায়ী ৫০ হাজার থেকে ৪ লাখ টাকা থাকে ওই ব্যক্তির জন্য কুরবানি করা আবশ্যক।

রদ্দুল মুহতার গ্রন্থে এসেছে, ‌সুস্থ মস্তিষ্ক, প্রাপ্তবয়স্ক, মুসলিম নর-নারী ঋণমুক্ত থাকা অবস্থায় প্রয়োজনের অতিরিক্ত নিসাব পরিমাণ সম্পদের মালিক হলেই তার ওপর কুরবানি করা ওয়াজিব। এক্ষেত্রে কুরবানি না করলে ওয়াজিব তরকের দায়ে গোনাহগার হবেন।

বাদায়েউস সানাঈ গ্রন্থে এসেছে, ‌‌নাবালেগ; পাগল; যদি নেসাব পরিমাণ সম্পদের মালিকও হয় তাদের ওপর কুরবানি ওয়াজিব নয়। তবে তাদের অভিভাবক নিজ সম্পদ দ্বারা তাদের পক্ষে থেকে কুরবানি করলে তা বিশুদ্ধ হবে।

দুররুল মুখতার গ্রন্থে এসেছে, মুসাফিরের ওপর কুরবানি ওয়াজিব নয়। মুসাফির দ্বারা উদ্দেশ্য হলো যে ব্যক্তি কমপক্ষে ৪৮ মাইল সফরের নিয়তে নিজ এলাকা ত্যাগ করেছে।

বাদায়েউস সানাঈতে এসেছে, কুরবানি ওয়াজিব হওয়ার জন্য কুরবানির ৩ দিনই মুকিম থাকা জরুরি নয়। বরং কেউ যদি এ ৩ দিনের শুরুর দিকে মুসাফির থাকে আর শেষ দিকে মুকিম হয়ে যায় তবে তার নিসাব পরিমাণ সম্পদ থাকলে তার কুরবানি ওয়াজিব হবে। আর কেউ যদি এ ৩ দিনের শুরুতে মুকিম থাকে এবং শেষের দিকে মুসাফির হয়ে যায় তাহলে তার ওপরে কুরবানি ওয়াজিব হবে না।



Source by [সুন্দরবন]]

Please Share This Post in Your Social Media

More News Of This Category

Recent Posts

© 2023 sundarbon24.com|| All rights reserved.
Designer:Shimul Hossain
themesba-lates1749691102