কুমিল্লায় গরু বিক্রি নিয়ে দুশ্চিন্তায় আছেন স্থানীয় খামারিরা। অনলাইনে গবাদিপশু বেচাকেনায় উদ্বুদ্ধ করলেও অধিকাংশ খামারি এই পক্রিয়ার সঙ্গে পরিচিত নন। যে কারণে ব্যবসায় ক্ষতির আশঙ্কা করছেন তারা। পশুর হাট না বসলে এই ক্ষতি কাটিয়ে ওঠা প্রায় অসম্ভব বলেও জানান খামারিরা।
জানা যায়, কোরবানি ঈদ সামনে রেখে প্রতি বারের মতো এবারও গরু, ছাগল লালন-পালন করেছেন। কুমিল্লার ১৭টি উপজেলায় প্রায় ৩০ হাজার খামারি রয়েছেন। অনেকে ক্রেতা এরই মধ্যে অনলাইনে কোরবানির পশু কিনতে শুরু করেছেন বা অর্ডার দিয়ে রাখছেন। তবে জেলার বেশিরভাগ খামারি এখনো অনলাইনে গবাদিপশু বিক্রিতে অভ্যস্ত নন।
খামারি কবির হোসেন বলেন, দিনরাত পরিশ্রমের ফলে গরুগুলো ভালোই মোটাতাজা হয়েছে। এ জন্য আমরা কোনো রকম মেডিসিন ব্যবহার করিনি। এখন বিক্রির অপেক্ষা। কিন্তু হাট না বসলে আমাদের সমস্যায় পড়তে হবে।
দিশাবন্দ দক্ষিণ পাড়া এলাকার ফজর এগ্রোমেট্রিক্স ফার্মে গিয়েও একই চিত্র দেখা গেছে। প্রতিষ্ঠানের ৩৯টি গরুর মধ্যে একটিও বিক্রি হয়নি। ফার্মের পরিচালক একেএম সাইফুর রহমান বলেন, করোনা পরিস্থিতি আমাদের দুশ্চিন্তার মূল কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। কঠোর লকডাউন চলায় গরুগুলো হাটে নিতে পারবো কিনা তাও জানি না।
জেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা নজরুল ইসলাম জানান, করোনার সংক্রমণ এড়াতে আমরা সবাইকে অনলাইনে গবাদিপশু বেচাকেনা করতে উদ্বুদ্ধ করছি। ১৪ জুলাইয়ের পর লকডাউন যদি শিথিল হয়, তখন স্বাস্থ্যবিধি মেনে এসব হাট বসবে।