আসন্ন কোরবানির ঈদে গরু বিক্রি নিয়ে শঙ্কায় জয়পুরহাটের খামারিরা। সারা বছর প্রতিপালন খরচের পর আশায় থাকেন গরু বিক্রি করে স্বাবলম্বী হওয়ার। এবার গরুরহাটগুলো বন্ধ থাকায় দেশের বিভিন্ন জেলা থেকে পাইকাররা গরু কিনতে আসতে পারছেন না। কোরবানিতে গরু বিক্রি করতে না পারলে বড় ধরনের লোকসানের আশঙ্কা করছেন খামারিরা।
জেলার প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তদরের তথ্য মতে, এ বছর জেলাতে কোরবানীর জন্য গরু, মহিষ, ছাগলের চাহিদা রয়েছে ১ লাখ ২০ হাজার। গো-খাদ্য,ওষধ ও বিদ্যুৎসহ অন্যান্য খরচ বেড়ে যাওয়ায় গরু প্রতিপালনে খরচও বেড়েছে বহুগুণ। এর মধ্যে লকডাউনে গোহাটি বন্ধ করে দেওয়ায় বিপাকে পড়েছেন খামারিরা।
খামারি সুমন মিয়া বলেন, করোনা পরিস্থিতির কারণে এবার আগ্রহী কোনো ব্যাপারির দেখা নেই। এছাড়া কোরবানির আগ মুহূর্তে জমজমাট হাট বসার সম্ভাবনাও নেই বললেও চলে। এ কারণে গরু বিক্রি করা নিয়ে শঙ্কায় রয়েছি। আমি গরুর ছবি ও ভিডিওসহ অনলাইনে বিক্রির জন্য দিয়েছি। এখন পর্যন্ত কোনো সাড়া পাইনি।
আরের খামারি রায়হান বলেন, গরুকে প্রতিদিন খাবার হিসেবে খৈল, ভুসি, কুঁড়ো ও কাঁচা ঘাস দিতে হয়। আর যদি এবার বিক্রি না হয়, তাহলে প্রতিদিন যে খরচ হয় তাতে সীমাহীন ক্ষতির সম্মুখীন হতে হবে।’
জেলার প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা মাহফুজার রহমান জানান, করোনা পরিস্থিতির কথা বিবেচনা করেই গত বছর জেলা প্রাণিসম্পদ বিভাগের উদ্যোগে অনলাইনে পশু বেচাকেনার উদ্যোগ নেওয়া হয়। এবারও এ পরিস্থিতিতে অনলাইনের মাধ্যমে আরও ব্যাপক আকারে কোরবানির পশু বেচাকেনা হবে বলে আশা করছি।
আরও পড়ুনঃ কুমিল্লায় গরু বিক্রি নিয়ে দুশ্চিন্তায় খামারিরা
ডেইরি প্রতিবেদন / আধুনিক কৃষি খামার