ফজলুর রহমান, রংপুরঃ রংপুরে হাড়িভাঙ্গা আমের বাম্পার ফলন হয়েছে। জুনের তৃতীয় সপ্তাহ থেকে হাড়িভাঙ্গার দখলে রয়েছে রংপুরের বাজারগুলো। তবে কঠোর লকভাউনে দূরপাল্লার বাস, ট্রেনসহ ব্যক্তিগত যােগাযােগ ব্যবস্থা বন্ধ থাকায় হাঁড়িভাঙ্গা আমের মূল উৎস মিঠাপুকুর উপজেলার পদাগঞ্জে আমের বাজারে ধস নেমেছিল।
তবে লকডাউনে বাঁধাহীনভাবে আম পরিবহন করতে পারায় সেই সংকট কেটে গেছে। গত চার দিন থেকে দেশের বিভিন্ন জেলা থেকে ব্যবসায়ীরা আম কিনতে আসায় দাম বেড়ে দ্বিগুন। হতাশা ছাপ কাটিয়ে হাসির মুখ দেখছে পদাগঞ্জ এলাকার আম চাষিরাও।
শুক্রবার (৯জুলাই) দুপুর ২.০০ টার দিকে মিঠাপুকুরের পদাগঞ্জ আম বাজারে গিয়ে দেখা যায়,কাঁচা আম (সর্বোচ্চ ভালো) এখন বাজারে প্রতি মণ ২৪’শ টাকা , মাঝারি ১৮’শ থেকে ২ হাজার, ছোট সাইজের ১১’শ থেকে ১৬’শ টাকা। পাকা আম (বড় সাইজ) ১১’শ থেকে ১২’শ টাকা। মাঝারি ৮’শ থেকে এক হাজার টাকা।
মৌসুমী আম ব্যবসায়ী লুৎফর রহমান এর সাথে কথা হলে তিনি জানান,কঠোর লকডাউনের কথা শুনে গ্রাহক না আসায় মৌসুমি আম ব্যবসায়ী ও বাগান মালিকদের পথে বসার উপক্রম হয়েছিল। তিনি আরও বলেন,গত চার দিন আগে বাগানে আম পাকা শুরু হওয়ায় লোকসান করে আম বিক্রি করতে হয়েছে। তবে কয়েকদিন থেকে বাইরের পাইকাররা আসায় দ্বিগুন দামে আম বিক্রি করতে পারছি।
খোড়াগাছ এলাকার আম চাষি মেহেদি হাসান জানান,পাকা আম মাত্র ৬’শ থেকে ৮’শ টাকা দরে বিক্রি করেছি। আর কাঁচা আম( ভালো মানের) ছিল ১৩’শ থেকে ১৫’শ টাকা। যেটার দাম হবার কথা ছিল সাড়ে তিন হাজার টাকা। এখন পাইকাররা আসতে শুর করায় আমের দাম বেড়েছে।
রংপুর কৃষি বিপনন বিভাগের উপ-পরিচালক আনোয়ার হোসেন জানান, রংপুরের মিঠাপুকুরে হাড়িভাঙা আমের বাম্পার ফলন হয়েছে। তবে লকডাউন থাকায় চাষিরা কিছুটা হতাশ হয়েছিল। তবে লকডাউনে আমের গাড়ি যেন কোথাও হয়রানি বা আটক না হয় সে বিষয়টি আমরা নিশ্চিত করেছি। এছাড়া আমরা আম পরিবহণে স্বাক্ষরিত স্টিকার ব্যবহার করতে দিয়েছি।