কোরবানির গরু বিক্রি নিয়ে শঙ্কায় মানিকগঞ্জের খামারিরা। জেলার খামারিরা সারা বছর গবাদিপশু লালন-পালন করে ঈদে ভালো দামে বিক্রির আশায়। তবে গত ১ জুলাই থেকে সারা দেশে কঠোর লকডাউন শরু হওয়ায় মানিকগঞ্জে পশুর হাট এখনও শুরু হয়নি। তাচাহড়াও ১৪ জুলাইয়ের পর লকডাউন শেষ হবে কি না, তা নিয়েও শঙ্কায় রয়েছেন খামারিরা।
শাজাহান আলী বলেন, এখনও কোনো গরু বিক্রি করতে পারিনি। এমনিতে লকডাউনে বেচাকেনা নেই, এর মধ্যে আবার গো-খাদ্যের দাম বাড়ায় বিপাকে পড়েছি। গমের ভূসির ৩৭ কেজির বস্তায় ৩০০ টাকা, সয়ামিল ৫০ কেজির বস্তায় ৭০০ টাকা, রাইস পলিসের ৫০ কেজির বস্তায় ৪০০ থেকে ৫০০ টাকা দাম বেড়েছে।
আরেক খামারি মুসলিম উদ্দিন বলেন, তার খামারে ঈদে বিক্রি করার মতো চারটি গরু আছে। তবে লকডাউনের কারণে তেমন ক্রেতা নেই। এখন যে পরিস্থিতি, তাতে বুঝতে পারছেন না কী হবে? তার মতো সকল খামারি পশু বিক্রি নিয়ে দুশ্চিন্তায় আছেন বলে জানান মুসলিম উদ্দিন।
জেলার প্রাণিসম্পদ অফিসার মাহবুবুল ইসলাম জানান , ঈদকে সামনে রেখে জেলার সাতটি উপজেলায় ১০ হাজার ৯২৬ জন খামারি ৫৫ হাজার ৮৮৮টি পশু মোটাতাজা করেছেন। করোনার কারণে পশু বিক্রি নিয়ে কিছুটা শঙ্কায় পড়েছে খামারিরা। প্রশাসনের পক্ষ থেকে অনলাইনে পশু বিক্রির ব্যবস্থা করা হয়েছে। এতে ভালো সাড়া পাওয়া যাচ্ছে।
আরও পড়ুনঃ লকডাউনে বরগুনায় কমেছে দুধের দাম, লোকসানে খামারিরা
ডেইরি প্রতিবেদন / আধুনিক কৃষি খামার