স্টাফ রিপোর্টার
করোনাকালে কোরবানির পশু কেনাবেচার জন্য ‘খুলনা গরুর হাট’ নামের অনলাইন হাট চালু করেছে জেলা প্রাণি সম্পদ অফিস ও জেলা প্রশাসন। ছবিসহ গরু বিক্রেতাদের পোস্ট এবং ক্রেতাদের মন্তব্যে সরগরম এ অনলাইন হাট। তবে সেই তুলনায় বিক্রি কম। আগামীকাল মঙ্গলবার থেকে খুলনা সিটি করপোরেশনও (কেসিসি) পৃথক আরেকটি অনলাইন হাট চালু করতে যাচ্ছে।
উদ্যোক্তারা বলছেন, কোরবানির এখনও ৭ দিন বাকি থাকায় বিক্রি কিছুটা কম। এছাড়া বেশিরভাগ গরুই গ্রামাঞ্চলে। অনলাইনে বেশিরভাগই শহুরে সৌখিন ক্রেতা। গ্রাম থেকে গরু নিয়ে আসার জটিলতায় অনেকে কেনার বিষয়ে সিদ্ধান্ত নিতে পারছেন না।
জেলা প্রাণি সম্পদ অফিস সূত্র জানায়, করোনা সংক্রমণের মধ্যে ক্রেতা ও খামারিদের সুবিধার জন্য গত ১ জুলাই থেকে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ফেসবুকে ‘খুলনা গরুর হাট’ নামের অনলাইন এ হাট শুরু হয়েছে। ইতিমধ্যে ২ হাজার ৮০০ গরুর ছবি ও দাম, বিক্রেতাদের মোবাইল নম্বর ও ঠিকানা উল্লেখ করে পোস্ট দেওয়া হয়েছে। এছাড়া কেসিসির পক্ষ থেকেও ‘কেসিসি হাট’ নামের পৃথক ওয়েবপেজ খোলা হয়েছে। আগামী ১৫ জুলাই কেসিসির এই পেজে পশু বিক্রি শুরু হবে।
খুলনার ভারপ্রাপ্ত জেলা প্রাণি সম্পদ কর্মকর্তা রণজীতা চক্রবর্তী জানান, খুলনা জেলার ৫ হাজার ২১২ জন খামারির মোট ৪৭ হাজার পশু কোরবানির জন্য প্রস্তুত রয়েছে। হাট নিয়ে মানুষের মধ্যে কিছুটা ভীতি কাজ করায় অনলাইনে পশু বিক্রির উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। এ পর্যন্ত ২ হাজার ৮০০টি গরুর ছবি ও দাম উল্লেখ করে পোস্ট দেওয়া হয়েছে। গত ১২ জুলাই পর্যন্ত প্রায় ৮০টি গরু প্রায় ৩৫ লাখ টাকায় বিক্রি হয়েছে। তিনি আরও জানান, কোরবানির ঈদ এগিয়ে এলে বিক্রি আরও বাড়বে। এছাড়া ১৫ জুলাই থেকে নগরী ও জেলা পশুর হাট শুরু হচ্ছে। যারা হাটে যাবেন না, তারা অনলাইন থেকে গরু কিনতে পারবেন।
Post Views:
22