হবিগঞ্জে ড্রাগন চাষে আব্দুল্লাহর সাফল্য এসেছে। বর্তমানে জেলার কৃষি বিভাগের মাধ্যমে এ ফলের চাষ ছড়িয়ে দিতে নানাভাবে চেষ্টা চলছে। দেওয়া হচ্ছে উৎসাহ। এতে কৃষকরা ফলটি চাষে মনোযোগী হচ্ছেন। ড্রাগন চাষ করে ব্যাপক সফলতা পেয়েছেন জেলার বাহুবল উপজেলার ছিলামী গ্রামের কৃষক আব্দুল্লাহ মিয়া। তার দেখাদেখি এখন অনেকেই এই ফল চাষে আগ্রহী হচ্ছেন।
জানা যায়, কৃষক আব্দুল্লাহ উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তা শামীমুল হক শামীমের আন্তরিক প্রচেষ্টায় ২০১৯ সালের ৩ ডিসেম্বর মাত্র ১৫ শতক জমিতে গড়ে তুলেন শখের ড্রাগন ফলের এক ছোট্ট বাগান। করোনার মধ্যেও তিনি প্রথম দফা ফল বিক্রি করেছেন প্রায় ২২ হাজার টাকা। চাষাবাদে তার খরচ হয়েছে প্রায় ১৬ হাজার টাকা। প্রথম বছরের শুরুতেই তিনি খরচ বাদ দিয়ে ৬ হাজার টাকা আয় করেছেন।
কৃষক আব্দুল্লাহ মিয়া বলেন, এলাকার প্রায় বাড়ির আঙ্গিনায় শোভা পাচ্ছে ড্রাগন ফল গাছ। তাদের গাছ থেকেও ফল উৎপাদন হচ্ছে। ২৬টি পাকা পিলারে ড্রাগন বাগানের সূচনা করি মাত্র ১০৪টি চারা দিয়ে। পরিচর্যার পর দেড় বছরে গাছে গাছে ফল শোভা পায়। এরমধ্য থেকে বিক্রির পাশাপাশি নিজেদের খাবার চাহিদাও পূরণ হচ্ছে। এলাকার ক্রেতারাই বাড়ি এসে ৫০০ টাকা কেজিতে ক্রয় করে নিয়ে যাচ্ছেন।
জেলার কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক তমিজ উদ্দিন খান জানান, তার সফলতা দেখে ড্রাগন ফলের চাষ করতে আগ্রহ তৈরী হচ্ছে অন্যান্য কৃষকের মাঝে। বিদেশি এ ফল দেশের মাটিতে চাষ বৃদ্ধির লক্ষ্যে কৃষি বিভাগ প্রতিনিয়ত কাজ করে যাচ্ছে।