মাদারীপুরে ড্রাগন চাষ করে স্বাবলম্বী হয়েছেন সাদ্দাম। মাদারীপুরে কৃষকদের প্রযুক্তিগত কলা কৌশল আর উদ্বুদ্ধকরণের মধ্যে দিয়ে বাণিজ্যিকভাবে ড্রাগন ফল চাষ করে লাভবান হচ্ছেন কৃষক সজিব হোসেন সাদ্দাম। ভালো ফলন ও বাজারে প্রচুর চাহিদা থাকায় ড্রাগন ফল চাষে ঝুঁকছেন অন্যরা। প্রতি বছর ড্রাগন চাষে আবাদী জমির পরিমান বৃদ্ধি পাবে বলে প্রত্যাশা কৃষি সম্প্রসারণের। পুষ্টি গুণে ভরপুর ড্রাগন ফল প্রতি কেজি বিক্রি হচ্ছে ৫০০-৬০০ টাকা দরে। ।
সাদ্দামের সাথে কথা বলে জানা যায়, সদর উপজেলার কালিকাপুর ইউনিয়নের চরনাচনা গ্রামের সজিব হোসেন সাদ্দাম থাইল্যান্ড, মালয়েশিয়া, ভুটান ও ভারতসহ বেশ কয়েকটি দেশ ভ্রমণ করে ড্রাগন ফলের চাষ দেখে বাগান করার আগ্রহী হয়। তাই তিনি দেশে ফিরে ৬ একর জমিতে সাড়ে ১১০০ খুঁটিতে সাড়ে ৪ হাজার গাছে ড্রাগন ফলের চাষ শুরু করেন। দেশ-বিদেশ থেকে উন্নত জাতের ড্রাগন ফলের চারা সংগ্রহ করে রোপন করেছেন। কৃষি বিভাগের পক্ষ থেকে প্রযুক্তিগত কলা-কৌশল আর সার্বিক সহায়তা পাওয়ায় তার মতো আরো চাষি ড্রাগন চাষে আগ্রহী হয়ে উঠছেন।
৭ জন শ্রমিক বাগানে কাজ করে তাদের পারিশ্রমিক দিয়ে ছেলে মেয়েদের লেখা পড়ার পাশাপাশি ভালো ভাবেই সংসার চলছে তাদের। এ বছরই সাদ্দাম হোসেন তার বাগান থেকে ড্রাগন বিক্রি করে খরচ উঠিয়ে লাভের মুখ দেখছেন। বন্যা বা প্রাকৃতিক দুর্যোগে ড্রাগন বাগানের কোন ক্ষতি না হলে একই গাছ থেকে কমপক্ষে ৩০ বছর পর্যন্ত ফল পাওয়া যাবে বলে জানান সাদ্দাম হোসেন।
সাদ্দামের বাবা সিদ্দিকুর রহমান হাওলাদার বলেন, তার ছেলেদের সাথে ফল বাগানে সার্বক্ষণিক থাকেন। দূর দুরান্ত থেকে শত শত মানুষ আসছেন ড্রাগন ফলের বাগান দেখতে। এতে তার বেশ আনন্দ লাগে। অনেক দর্শনার্থী তাদের বাগান থেকে তাজা ড্রাগন ফল কিনে নিচ্ছেন এবং অনেকে বাগানে বসেই খাচ্ছেন। আবার অনেকে বাগান করার জন্য ড্রাগনের চারাও নিয়ে যাচ্ছেন।
মাদারীপুরের কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক মোয়াজ্জেম হোসেন জানান, কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের পক্ষ থেকে তাদেরকে প্রয়োজনীয় পরামর্শ, প্রশিক্ষণ এবং উদ্বুদ্ধ করা হচ্ছে।