লাভের আশায় গরু বিক্রি করতে ঢাকা ছুটছেন ব্যবসায়ীরা। কোরবানির ঈদের আর মাত্র দুই দিন বাকি। এখন ব্যস্ত গরু ব্যবসায়ীরা। বাড়তি লাভের আশায় মেহেরপুর থেকে ব্যবসায়ীরা গরু নিয়ে ঢাকায় যাচ্ছেন।
জেলা প্রাণিসম্পদ অফিসার সূত্রে জানা যায়, জেলায় কোরবানির জন্য প্রস্তুত প্রায় ৬০ হাজার গরু। টানা ১৪ দিনের লকডাউনের সময় বসেনি কোনো কোরবানির পশু হাট। গত ১৬ জুলাই মেহেরপুর ও আশেপাশের জেলার মধ্যে সবচেয়ে বড় হাট মেহেরপুরের গাংনীতে বসে। ঢাকার বাজারে চড়া দামে গরু বিক্রি হওয়ায় এবার তার প্রভাব পড়েছে স্থানীয় বাজারগুলোতে। বেশিরভাগ খামারি ও ব্যাপারীরা গরু নিয়ে ঢাকায় যাচ্ছেন।
ব্যাপারী অমেদ আলী বলেন, প্রতি মণ মাংসের আনুমানিক দাম ২৫ থেকে ৩০ হাজার ধরে গরু কেনা-বেচা হচ্ছে। লালন-পালন খরচ বেড়ে যাওয়ায় গবাদিপশুর দামও বেড়েছে।
আক্কাস আলী ও আবুল হোসেনসহ কয়েকজন খামারি জানান, নির্দিষ্ট সময়ে গরু বিক্রি করতে না পারায় হতাশ তারা। বাকিতে স্থানীয় ব্যাপারীদের কাছে গরু বিক্রি করেছেন অনেকে। এখন ঢাকার পশু হাটে দর ভালো না পাওয়া গেলে পথে বসতে হবে খামারি ও স্থানীয় ব্যাপারীদের।
বামুন্দী ইউপি চেয়ারম্যান শহিদুল ইসলাম বলেন, করোনার সংক্রমণ রোধে আমরা পশুহাটে উপস্থিত ক্রেতা-বিক্রেতাদের সচেতন করেছি। এবার সবাই যাতে সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখে ও মাস্ক ব্যবহার করে সে বিষয়ে আমরা ব্যবস্থা নেবো।
আরও পড়ুনঃ গরুর খামারে স্বপ্ন দেখছেন ফরিদপুরের রানা
ডেইরি প্রতিবেদন / আধুনিক কৃষি খামার