পুকুরে মাছের রোগ প্রতিরোধে করণীয় কি সে বিষয়ে মাছ চাষিদের সঠিক ধারণা থাকা দরকার। মাছ চাষে লাভ বেশি হওয়ার কারণে দিন দিন আমাদের দেশে মাছ চাষ বেড়েই চলেছে। মাছের রোগ হলে খাদ্যের সাথে ঔষধ বা এন্টিবায়োটিক প্রয়োগ করে রোগ নিরসণ অসম্ভব এবং ইহা পরিবেশের জন্য মারাত্মক ক্ষতিকর বিষয়। মাছ বা চিংড়ির রোগ হলে রোগ বা জীবানু চিহ্নিত করে জীবাণু অনুসারে নির্দিষ্ট ঔষধ বা এন্টিবায়োটিক খাদ্যের সাথে দেহের ওজন অনুসারে নির্দিষ্ট মাত্রায়, নির্দিষ্ট সময় পর্যন্ত খাওয়ানো কখনো সম্ভব নয়। আজকে আমরা জেনে নিব পুকুরে মাছের রোগ প্রতিরোধে করণীয় সম্পর্কে-
মাছের রোগ সংক্রমণ না হওয়ার বিষয়ে ও সংক্রমণ দেখা দিলে করণীয়ঃ
১। পুকুরের পানি নিষ্কাশন করে তলদেশের আবর্জনা অপসারণ ও তলদেশ জীবাণু মুক্ত করন।
২। পুকুরে উত্তম মানের পানি প্রবেশ করানো। সম্ভব হলে প্রবেশ করানো পানি জীবানু মুক্ত করন।
৩। সুস্থ-সবল পোনা মজুদ করা।
৪। চাষের সর্বসময়ে জীবানু মুক্ত খাদ্য, যন্ত্রপাতি ইত্যাদি এবং রোগ না হওয়ার বিষয়ে সতর্ক থাকতে হবে।
৫। পানির গুণাগুণ নষ্ট হয়ে গেলে সম্ভব হলে পানি বদল করা।
৬৷ অধিক ঘনত্বে চাষ করলে এ্যায়ারেটর ব্যবহার করা।
৭৷ রোগ প্রতিরোধ ও প্রতিকারে নিয়মিত উত্তম মানের প্রোবায়োটিকস প্রয়োগ করা যেতে পারে।
৮। রোগ দেখা দিলে প্রয়োজনে পুকুরে জীবানু নাশক প্রয়োগ করে পানি জীবানু মুক্ত করতে হবে। তবে জীবাণু নাশক ব্যবহার করা পুকুরে প্রোবায়োটিকস প্রয়োগ করা যাবে না।
এখানে একটি কথা উল্লেখ্য, যে এক প্রকার ছত্রাকের আক্রমণে মাছের ক্ষত রোগ হলে কেহ কেহ শতকে ১ কেজি লবণ ও ১ কেজি চুন প্রয়োগের পরামর্শ দেন। ইহা কোন কার্যকরী ব্যবস্থা নয়। লবণ প্রয়োগে জীবনু নাশের সর্ব নিম্ন মাত্রা হল ১ পি পি টি বা প্রতি কিউঃ মিঃ পানিতে ১ কেজি লবণ প্রয়োগ। এ মাত্রায় পুকুরে লবণ প্রয়োগ করতে হলে শত মন লবণ দরকার হবে। আবার এ মাত্রার লবণ সকল মাছের জন্য সহনশীল নয়।
লেখাঃ কবির আহমেদ