টানা ১৪ দিনের লকডাউন শেষে গত ১৫ তারিখ থেকে শিথিলতার ঘোষণায় ঝিনাইদহের কলা চাষিদের মধ্যে স্বস্তি ফিরলেও ঈদ পরবর্তী সরকার ঘোষিত আবারও লকডাউনের কারণে বিপাকে পড়েছেন জেলার কালীগঞ্জ উপজেলার কলা চাষিরা।
স্থানীয় কৃষি বিভাগ বলছে, কালীগঞ্জ উপজেলায়, রায়গ্রাম, ফরাশপুর, বেলেডাঙ্গা, সুন্দরপুর, কালুখালী, বারবাজার, কলার চাষ বেশি হয়েছে। প্রথমদিকে ভালো দাম পেলেও কঠোর লকডাউন শুরুর পর থেকে কলার দাম কমে যাওয়ায় লোকশান গুনছেন চাষীরা।
বর্তমানে এক কাঁদি চাপাকলা (স্থানীয় নাম ঘাউর) ১৫০ থেকে ৩৫০ টাকা, সবরি কলার কাঁদি ৪০০ থেকে ৫০০ টাকা, সাগর ও রঙিন মেহের সাগর কলার কাঁদি পাইকারি ২৫০ থেকে ৩০০ টাকা বিক্রি হয়। সেখানে প্রতি কাঁদি কলা ২০০ থেকে ৩০০ টাকায় নেমে এসেছে।
ত্রিলোচনপুর ইউনিয়নের কলাচাষী জাহাঙ্গীর বলেন, করোনার কারণে গত বছরও লোকসান গুনতে হয়েছিল। এ বছরও কলার ভালো দাম না থাকায় লোকসান গুনতে হচ্ছে।
সালাম নামে আর এক কলা চাষি জানান, লকডাউনের কারণে কলা কিনতে তেমন একটা ব্যাপারী আসছেনা। যারফলে কাদিপ্রতি কলার দাম কমেছে প্রায় ১০০-১৫০ টাকা। এতে লোকসান গুনতে হচ্ছে বলেও তিনি জানান।
এ প্রসঙ্গে কালীগঞ্জ কৃষি অফিসার শিকদার মোহাইমেন আক্তার বলেন, চলতি বছর কলার উৎপাদন ভালো হয়েছে। ঈদ পরবর্তী কঠোর লকডাউনের ঘোষণায় আবারও কমেছে কলার দাম। কলা চাষিদের উদ্বুদ্ধ করতে কৃষি বিভাগের পক্ষ থেকে সব ধরনের প্রশিক্ষণ ও পরামর্শ প্রদান অব্যাহত রয়েছে।