কুড়িগ্রামের ব্রহ্মপুত্র নদবেষ্টিত রৌমারী উপজেলায়
জনপ্রিয় হচ্ছে একই জমির ধান গাছে দু’বার ধান উৎপাদন। অল্প খরচে অধিক লাভবান হওয়ায় ইতোমধ্যে এই পদ্ধতিতে ধান চাষ কৃষকদের মাঝে ব্যাপক সাড়া জাগিয়েছে।
জানা গেছে, ব্রহ্মপুত্র নদী ও হলহলিয়া নদীসহ মোট ৫টি শাখা নদী দ্বারা বেষ্টিত রৌমারী উপজেলা।
এ উপজেলায় মোট আয়তন ১৯ হাজার ৭০০ হেক্টর। আবাদযোগ্য জমি ১৬৬ হেক্টর। নিট আবাদি জমির পরিমাণ ১৫ হাজার ৫৫৫ হেক্টর। ২০২০-২১ অর্থ বছরে এ উপজেলায় প্রায় ১০ হাজার ২০ হেক্টর জমিতে বোরা ধান চাষ হয়েছে।
স্থানীয় কৃষক রুহুল আমিন জানান, বোরো ধান কাটার পর ফেলে রাখা ওই জমির কাটা ধানের গাছ থেকে কুশি বের হয়। আগে আমরা ওই ধানের কুশি গরুর খাদ্য হিসেবে ব্যবহার করতাম। এখন ওই ধান গাছ থেকে তিনি নতুন ধান উৎপাদন করছেন।
স্থানীয় উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তাদের পরামর্শে তার ৪০ শতাংশ জমিতে ব্রি ধান-২৮ কর্তনের সময় ধান গাছের মুড়ি রেখে দেন। পরে সেচ দিয়ে ১০ কেজি ইউরিয়া, ৫ কেজি এমওপি সার প্রয়োগ করে ৫৫ দিন পর ৭ মণ ধান পেয়েছেন। এতে তার খরচ হয়েছে মাত্র ১ হাজার টাকা।
কৃষক শফিকুল হক জানান, বোরো চাষ করে ধান ভালো হবে কিনা তা নিয়ে অনিশ্চয়তা থাকলেও ধান কাটার পর একই ধানের গাছ থেকে নতুন ধান উৎপাদনের সুযোগ পাওয়ায় বোরো ধান চাষে তিনি লাভবান হচ্ছেন। আগামী বছর কয়েক একর জমিতে মুড়ি ফসল চাষ করবেন।
শৌলমারী ইউনিয়নের বোয়ালমারী ব্লকে কর্মরত উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তা মাসুদ রানা জানান, তার ব্লকে প্রথমে ৫ হেক্টর জমিতে ২০ জন কৃষক মুড়ি ফসল রাখলেও শেষ পর্যন্ত ৩ হেক্টর জমির ফসল কর্তন করতে সক্ষম হয়েছেন। বন্যার আগেই মাত্র ৫৫-৬০ দিনের অতিরিক্ত ৬০ হতে ৭০ মণ ধান উৎপাদন করতে সক্ষম হন কৃষকরা।