মুরগির খামারে জৈব নিরাপত্তা নিশ্চিতে যেসব কাজ করতে হবে সে বিষয়ে আমাদের দেশের অনেক খামারিরাই জানেন না। খামারে মুরগি পালন আমাদের দেশে বেশ জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে। খামারে মুরগি পালনে যেসব বিষয় গুরুত্বের সাথে দেখতে হবে তার মধ্যে জৈব নিরাপত্তা অন্যতম। আজ আমরা জেনে নিব মুরগির খামারে জৈব নিরাপত্তা নিশ্চিতে যেসব কাজ করতে হবে সেই সম্পর্কে-
১। ফুটবাথঃ খামারের কর্মচারী এবং ভিজিটরদের জন্য দুই জায়গায় ফুটবাথ বা পা ধোয়ার জায়গা রাখতে হবে। শেডের মুল গেটে ফুটবাথের ব্যবস্থা করতে হবে যাতে করে খামারের খাদ্য বা মালামাল পরিবহণ ভেতরে প্রবেশের সময় চাকা এবং ভিজিটরদের পা জীবানুনাশক মিশ্রিত পানিতে ভিজিয়ে যেতে হবে।
২। হাত ধোয়াঃ মুরগির খামারের কর্মচারী কিংবা ভিজিটর আসলে তাদের হাত ধোয়ার জন্য জীবানুনাশক স্প্রে ব্যবহার করেতে হবে। এতে সহজেই মুরগির খামারে রোগ ছড়িয়ে যেতে পারবে না।
৩। আলাদা শেড হলে কর্মচারী আলাদা রাখাঃ কারো একাধিক খামার থাকলে অবশ্যই আলাদা শেডের জন্য আলাদা কর্মচারী রাখতে হবে। যাতেকরে এক শেডের রোগ জীবানু অন্য শেডে প্রবেশ করতে না পারে।
৪। খামারের বাহিরাংশে দিনে ২-১ বার জীবানুনাশক দিয়ে স্প্রে করে দিতে হবে। এছাড়াও দিনে অন্তত একবার মুরগি সরিয়ে দিয়ে তুষ বা মাচার উপর স্প্রে করে দিতে হবে।
৫। ফেঞ্চিং করাঃ মুরগির খামারে চারিদিকে তারের জাল অথবা ইটের তৈরি দেওয়াল দ্বারা ফেঞ্চিং বা বেড়া দিয়ে দিতে হবে। এতে করে খামারের মুরগি বাহিরে যেতে পারবে না এবং বাহিরের পশু-পাখি বা বণ্য প্রাণী খামার এলকায় প্রবেশ করতে পারবে না।
৬। মুরগির খাদ্য, পানির পাত্র ও অন্যান্য জিনিস আলাদা আলাদা শেডের জন্য আলাদা রাখতে হবে। প্রতিটি শেডের ব্যবহারের জিনিস আলাদা রাখতে হবে। এক শেড হতে অন্য শেডে নিলে এগুলোর সাথে রোগ জীবানুও অন্য শেডে যেতে পারে।
৭। মৃত মুরগি খামার থেকে অনেক দূরে গর্ত করে পুঁতে ফেলতে হবে। কোন কারণে খামারের মুরগি মারা গেলে দূরে মাটিতে পুতে রাখতে হবে। কোন অবস্থাতেই মৃত মুরগিকে খোলা স্থানে ফেলে রাখা যাবেনা।