ঈদ পরবর্তী পোল্ট্রি শিল্পে ব্যাপক আকারে নেমেছে ধস। যদিও ঈদের আগে খামারি পর্যায়ে ব্রয়লার মুরগির পালনে খামারিদের লোকসানের পরিমাণ কম ছিলো। কিন্তু বর্তমান পরিস্থিতিতে প্রতিদিন গুনতে হচ্ছে বিরাট অংকের লোকসান। এতে করে পুঁজি হারিয়ে নিঃস্ব হয়ে পথে বসছেন প্রান্তিক খামারিরা।
গত ২৮ জুলাই ২০২১, দেশের পাইকারী বাজার পর্যালোচনা করলে দেখা যায়, পাইকারী বাজারে ব্রয়লার মুরগির দাম নেমে গেছে অস্বাভাবিক হারে। এদিকে রংপুরে পাইকারী রেটে ব্রয়লার মুরগি বিক্রি হয়েছে ৮০ টাকা কেজি দরে এছাড়াও গাজীপুরে ৮৬, ময়মনসিংহ ৮৫ টাকা, সিলেট ৮৫ টাকা, টাঙ্গাইল ৮৩ টাকা, বরিশালে ৯০ টাকাসহ অন্যান্য বিভাগীয় শহরগুলোতেও এমনি কাছাকাছি দামে বিক্রি হচ্ছে ব্রয়লার মুরগি।
পোল্ট্রি খামারিরা জানিয়েছেন, মুরগির খাদ্য বস্তা প্রতি বেড়েছে ১৫০-২৫০ টাকা, এছাড়াও বেড়েছে শ্রমিকের মজুরি, ভ্যাকসিন, ঔষধপাতি, বিদ্যুৎ বিল ও অন্যান্য আনুষঙ্গিক খরচসহ প্রতি কেজি ওজনের ব্রয়লার মুরগি উৎপাদন করতে খরচ পড়ে প্রায় ১১০-১২০ টাকা। ১১০-১২০ টাকা খরচ করে বর্তমানে মুরগি বিক্রি করতে হচ্ছে ৮০-৮৫ টাকা দরে। এতে করে প্রায় প্রতি কেজি ব্রয়লার মুরগি উৎপাদনে লোকসান হচ্ছে প্রায় ৩০-৪০ টাকা। মুরগির বাজার এরকম চলতে থাকলে পোল্ট্রি খামার বন্ধ করে দেয়া ছাড়া আর কোন উপায় থাকবেনা বলেও জানান খামারিরা। যদিও ইতোমধ্যে অনেক খামারি পুঁজি হারিয়ে হয়েছেন নিঃস্ব গুটিয়ে নিয়েছেন ব্যবসা।
পোল্ট্রি ব্যবসার সাথে জড়িত নতুন উদ্যোক্তা ইস্কেন্দার শেখ akkbd.com কে জানান, করোনা পরিস্থিতে বিপাকে ব্রয়লার উৎপাদনকারী খামারিরা। ইতোমধ্যে লোকসানের মুখে পড়েছেন অনেক খামারি। লোকসান গুনতে গুনতে দেয়ালে পিঠ ঠেকে গেছে।
তিনি আরও বলেন, ব্রয়লার মুরগি উপাদনকারী থেকে শুরু করে ডিম উৎপাদনকারী পর্যন্ত যেসব খামারি আছে তাদের স্বার্থ রক্ষার্থে সরকারের একটি পোল্ট্রি বান্ধব নীতিমালা গ্রহণ করা জরুরী হয়ে পড়েছে । তা না হলে এই সম্ভাবনাময় সেক্টরটি ধ্বংস হয়ে যাবে বলেও তিনি আশঙ্কা প্রকাশ করেন।