নার্সারিতে বিভিন্ন গাছপালার চারা উৎপাদন করে স্বাবলম্বী হয়েছেছেন গাইবান্ধার সাদুল্লাপুর উপজেলার ২০০ উদ্যোক্তা। নার্সারী ব্যবসায় লাভজনক হওয়ায় প্রতিনিয়ত বাড়ছে উদ্যোক্তাদের সংখ্যা।
জানা যায়, ১৯৮৫ সালে ভাতগ্রাম ইউনিয়নের কৃষ্ণপুর গ্রামের মফসেল মেম্বর নামের এক কৃষক প্রথমে ৫০ শতক জমিতে বিভিন্ন প্রজাতির গাছ নিয়ে নার্সারি ব্যবসা শুরু করেন। তার সাফল্য দেখে গ্রামের আরও প্রায় অর্ধশত উদ্যোক্তা নার্সারি গড়ে তোলেন। বর্তমানে উপজেলার খোর্দ্দকোমরপুর ও ভাতগ্রাম ইউনিয়নের কৃষ্ণপুর, বুজরুক পাকুরিয়া, কিশামত দুর্গাপুর ও তরফ জাহান গ্রামে কয়েকশো নার্সারী প্রতিষ্ঠান গড়ে উঠেছে।
এসব নার্সারিতে ড্রাগন, রামবুটান, এভোকাডো, পিচ, আপেল, আঙুর, ক্রিসমাস্টি,অর্জুন, আমলকি, হরিতকি, বহেরা, নিম, জয়তুন ও পাথরকুচি,বেলজিয়াম, মেহগনি, সেগুন ও রেইন্ট্রি, এটোলিয়াম, নাইটকুইন, এ্যারোমেটিক জুঁই, তেজপাতা, দারুচিনি, গোলমরিচ, লবঙ্গ, ক্যাকটাস, ছাকুল্যান্টম, পাতাবাহার, এ্যারোলিয়া, কবরীসহ আরও হরেক রকম ফলজ, বনজ, ফুলের চারা উৎপাদন ও বিপণন হচ্ছে।
বুজরুক পাকুরিয়া গ্রামের সততা নার্সারির মালিক শহিদুল ইসলাম জানান, ১৯৯০ সালে নিজস্ব ২ একর জমিতে নার্সারি করে তার ভাগ্যের চাকা ঘুরেছে। তার নার্সারিতে প্রায় ১৫০ জাতের চারা রয়েছে। চারা উৎপাদনের পর বিক্রি হচ্ছে। বর্তমানে শ্রমিক, সার-কিটনাশক খরচ বাদে মাসে ২৫-৩০ হাজার টাকা লাভ করছেন বলেও তিনি জানান।
আরেক উদ্যোক্তা রেজাউল করিম উল্লেখ করেন, নার্সারি ব্যবসায় লাভ হয়। কিন্তু প্রায় পৌনে দুই বছর ধরে করোনা পরিস্থিতির প্রভাবে ব্যবসায় ভাটা পড়েছে।
সাদুল্লাপুর উপজেলার উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তা ইউনুছ আলী জানান, নার্সারি ব্যবসা বেশ লাভজনক। কেউ পরিকল্পনামাফিক নার্সারি করলে স্বাবলম্বী হওয়ার সুযোগ রয়েছে।