পটুয়াখালী জেলার কলাপাড়ায় জলাবদ্ধতায় নষ্ট হচ্ছে তরমুজ খেত। এছাড়াও খেতের পানি নিষ্কাশনের কোনো ব্যবস্থা নেই। যারফলে নষ্ট হয়ে যাচ্ছে পরিপক্ব ফল। এতে করে দীর্ঘমেয়াদি লোকসানের আশঙ্কা করছেন চাষিরা।
জানা যায়, উপজেলার ১২টি স্লুইস গেট এর মধ্যে ৮ টি স্লুইসের গেট নষ্ট থাকায় তরমুজ খেতে জমছে পানি। চলতি মৌসুমে ফলন পরিপক্বতা পাওয়ার আগেই অতিবৃষ্টির কারণে জলাবদ্ধতা হয়ে তরমুজের গাছগুলো মরে যাচ্ছে।
কুমিরমারা গ্রামের তরমুজ চাষি ওমর ফারুক জানান, লাভের আশায় ১ লাখ ৫০ হাজার টাকা খরচ করে মালচিং পদ্ধতিতে তরমুজ চাষ শুরু করি। কিন্তু অতিরিক্ত জলাবদ্ধতায় গাছের গোড়ায় পানি জমে গাছগুলো মরতে শুরু করেছে।
তরমুজ চাষি জাকির গাজী জানান, প্রায় একশ শতাংশ জমিতে মৌসুম ছাড়া তরমুজ চাষ করেছি। চলতি মৌসুমে তরমুজের অপরিপক্কতা আসলেও ৯০ শতাংশ তরমুজের বয়স মাত্র ২১ দিন। কিন্তু জলাবদ্ধতায় এসব গাছ নষ্ট হয়ে যাচ্ছে। এই অবস্থার উন্নতি না ঘটলে অনেক টাকা লোকসান হবে বলেও তিনি আশঙ্কা প্রকাশ করেন।
পটুয়াখালী আঞ্চলিক উদ্যানতত্ত্ব গবেষণা কেন্দ্রের বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা মো. রেজাউল করিম জাগো নিউজকে জানান, উপজেলায় প্রথমবারের মতো বর্ষাকালীন সময়ে তরমুজের আবাদ করে আশানুরূপ ফলন পেয়েছে চাষিরা। জলাবদ্ধতার সমস্যা নিরসন করা না হলে চাষিরা কাঙ্ক্ষিত ফলন পাবেন না বলেও তিনি জানান।