তরমুজ সাধারণত শীতকালে চাষাবাদ করা হলেও বর্তমান এই বর্ষা মৌসুমেও হচ্ছে চাষ। অসময়ে কাঙ্ক্ষিত ফলন ও বাজারমূল্য ভালো হওয়ায় জনপ্রিয়তা পাচ্ছে বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা ইনস্টিটিউটের পটুয়াখালীর আঞ্চলিক উদ্যানতত্ত্ব গবেষণা কেন্দ্র উদ্ভাবিত বারি-১ ও বারি-২ নামের তরমুজের জাত।
জানা যায়, চলতি বর্ষা মৌসুমকে টার্গেট করে জেলায় ২০ একর জমিতে বারি-১ ও বারি-২ জাতের তরমুজের চাষ হয়েছে। মালচিং পদ্ধতিতে কম খরচে সারাবছরই আবাদ করা যায় বলে চাষিরা ঝুঁকে পড়ছেন।
দশমিনার লক্ষ্মীপুর গ্রামের তরমুজ চাষি রিপন মণ্ডল জানান, বারি উদ্ভাবিত তরমুজের ৮০০টি চারা দিয়ে ২০ হাজার টাকা খরচে ৪০ শতাংশ জমিতে মালচিং পদ্ধতিতে চাষ শুরু করেছি। ইতোমধ্যে ২০ হাজার টাকার তরমুজ বিক্রি করেছি। খেতে এখনো অনেক তরমুজ আছে। যা বিক্রি করে আরও অনেক টাকা আয় হবে বলে জানান।
গ্রামের ওমর ফারুক জানান, জুন মাসের শুরুতেই আঞ্চলিক উদ্যানতত্ত্ব গবেষণা কেন্দ্রের পরামর্শে এক হাজার বারি-১ ও বারি-২ জাতের চারা পেয়ে রোপণ করেছি। বর্তমানে খেত থেকে ফসল সংগ্রহ শুরু হয়েছে। প্রতিটি তরমুজের ওজন ৪ থেকে ৫ কেজি। ইতোমধ্যে ১৪০০টি তরমুজ বিক্রি করেছি। ১০০ থেকে ১৫০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে বলেও তিনি জানান।
পটুয়াখালী আঞ্চলিক উদ্যানতত্ত্ব গবেষণা কেন্দ্রের প্রধান বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা মোহাম্মদ ইদ্রিস আলী হাওলাদার বলেন, অসময়ে তরমুজ চাষ করে কৃষকরা বাজারে ভাল দাম পাচ্ছেন। বর্তমান সারাবছরই তরমুজের ব্যাপক চাহিদা রয়েছে। এর আগে কৃষক হাইব্রিড জাতের তরমুজের চাষ করেছেন। কিন্তু আমাদের উদ্ভাবিত জাতের তরমুজ চাষ করে ভালো ফলন পেয়ে কৃষক খুশি।