মাশরুম যাকে আমরা ব্যাঙের ছাতা হিসেবে চিনি। মাশরুম ও ব্যাঙের ছাতা এক জিনিস নয়, ব্যাঙের ছাতা একপ্রকার বিষাক্ত ছত্রাক যা যত্রতত্র গজিয়ে উঠে, যাহা খাবার উপযোগী নয়। আর মাশরুম হচ্ছে এক ধরনের পরজীবী ছত্রাক যা অত্যন্ত পুষ্টিকর, সু-স্বাদু ও ঔষধি গুণসম্পন্ন সবজি হিসেবে সারাবিশ্বে পরিচিত। হাদিস শরীফে একে বেহেস্তী খাবারের সাথে তুলনা করা হয়েছে। (সহীহ বুখারী ও মুসলিম শরীফ)
গ্রিক,রোমান ও চীনেরা মাশরুমকে দেবতার খাবার হিসেবে মনে করে। মাশরুম অতি যত্নসহকারে টিস্যুকালচারের মাধ্যমে বংশবিস্তার করে সর্ম্পুন হাইজেনিক পদ্বতিতে চাষ করা হয়।
মাশরুম দুই প্রকার ১ সবজি মাশরুম ও ঔষধী মাশরুম , সবজি মাশরুম চাষে বাংলাদেশের আবহাওয়া অনেকটাই উপযোগী , এছারা মাশরুম চাষে জমির প্রয়োজন হয়না , বসত ঘরেই মাশরুম চাষ করা যায়। মাশরুমের পুষ্টিগুণ অনেক বেশী থাকায় প্রায় সবধরনের ভাইরাস প্রতিরোধে সক্ষম , মাশরুম নিয়মিত খেলে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্বি পায় যা সহজেই অসুস্থ হওয়া থেকে রক্ষা করে ।
ঢাকা সহ সারাদেশে যারা ফ্ল্যটে বসবাস করেন তারা মাশরুম চাষ করে প্রতিদিনের সবজির চাহিদা মিটিয়ে নিজে ও পরিবারকে সু-স্বাস্থ গঠনে বিশেষ ভুমিকা রাখতে পারেন ।
মাশরুম বীজ (৫০০ গ্রামের স্পন প্যকেট) সংগ্রহ করে , প্যকেটের উপরের অংশে ডি আকৃতি করে দুইদিকে দের ইঞ্চি বাই হাফ ইঞ্চি করে ব্লেড দিয়ে পলিথিন অংশ কেটে সামান্য চেচে দিয়ে পাচ মিনিট পরিস্কার পানিতে ভিজিয়ে রেখে সমান জায়গায় সারিসারি করে চাষে বসাতে হরে। চাষের স্থানে আলো কম রাখতে হবে প্রয়োজনে কালো কাপর দিয়ে ডেকে দিতে হরে , জায়গা সল্পতা হলে প্লাস্টিকের রেকে থাকথাক করে সাজিয়ে রাখা যাবে। কাটা স্থানে প্রতিদিন দুইবার পানি স্প্রে করতে হবে।
এইভাবে ৫-৭ দিনের মাথায় মাশরুম গজাবে , ২দিনেই খাওয়ার উপযোগী হবে , মাশরুম তুলে এই অংশটা আবার চেচে দিয়ে পানি দিলে ১০-১৫ দিন পরে আবার মাশরুম আসবে । ভাল কোয়ালিটির বীজ (স্পন) হলে একটি থেকে ৩মাসে ২০০-২৫০ গ্রাম মাশরুম পাওয়া যাবে।
লেখকঃ আব্দুল মজিদ
মাশরুম বিষয়ে বিশেষ প্রশিক্ষণ প্রাপ্ত
মাশরুম সেন্টার সাভার, ঢাকা