নেত্রকোনায় লাউ চাষে কৃষক চন্দনের সাফল্য এসেছে। নেত্রকোনার বারহাট্টা উপজেলার সাহতা ইউনিয়নের গোপালপুর গ্রামের মৃত চান মিয়ার ছেলে তিনি। এর আগে প্রতি বছর ধান চাষ করে কোনোরকমে সংসার চালাত। এখন লাউ চাষ করে সংসার চালিয়ে অনেক সঞ্চয় হচ্ছে বলেও জানান তিনি।
জানা যায়, চন্দন মিয়া বছরের ১২ মাসেই কৃষি কাজে ব্যস্ত থাকেন এখন। তবে সবজির মধ্যে তিনি লাউ উৎপাদন করেন বছরের ৭ মাস। এসময়ে তিনি প্রায় ৩ লাখেরও বেশি টাকা আয় করে থাকেন। তিনি বর্ষাকালে ভাসমান সবজির চাষ করে থাকেন।
কৃষক চন্দন বলেন, আমি প্রথমে টমেটো ও লাউ চাষ করে করে লোকসানে পড়েছি। তখন আমি বুঝিনি, কিন্তু পিছিয়ে যাইনি। মনোবল ধরে রেখে পরিশ্রম করে গেছি। চাকরি ছাড়াও যে স্বাবলম্বী হওয়া যায়, সেটা আমার অভিজ্ঞতা থেকেই বলছি। ১০ কাঠা জমিতে লাউ আবাদ করতে খরচ হয়েছে প্রায় ৯০ থেকে ১ লাখ টাকা। এখান থেকে খরচ বাদ দিয়ে ১ লাখ টাকা আয় করা সম্ভব।
এদিকে চন্দন মিয়ার সফলতায় এ অঞ্চলের অনেকেই এখন সবজি চাষে উৎসাহী হয়ে উঠছেন বলে জানান ওই গ্রামের আলাউদ্দিন, রশিদুল ইসলাম, নিরঞ্জন সরকারসহ বেশ কয়েকজন কৃষক। তারা জানান, তারাও কৃষিপণ্য উৎপাদনের মাধ্যমে স্বাবলম্বী হওয়ার চেষ্টা করছেন। চন্দন মিয়া তাদের কাছে অনুপ্রেরণা স্বরূপ।
বারহাট্টা উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মোহাইমিনুর রশিদ জানান, চন্দন মিয়া একজন প্রগতিশীল কৃষক। আধুনিক কৃষি প্রযুক্তি ব্যবহার করে তিনি সবজি আবাদ করছেন। কৃষি বিভাগ তাকে নিয়মিত পরামর্শ দিয়ে যাচ্ছে। চন্দন মিয়ার মতো আরও উদ্যোমী কৃষক সবজি চাষে আগ্রহী হলে কৃষি বিভাগ তাদের প্রশিক্ষণ ও কারিগরি সহায়তা করতে সবসময়ই প্রস্তুত।