পাঙ্গাস মাছ আহরণ ও অন্যান্য ব্যবস্থাপনায় করণীয় যা যা রয়েছে সেগুলো মৎস্য চাষিদের সঠিকভাবে জেনে রাখতে হবে। বর্তমানে অনেকেই পুকুরে মাছ চাষ করে অর্থনৈতিকভাবে স্বাবলম্বী হচ্ছেনক। পুকুরে পাঙ্গাস মাছ চাষ খুবই লাভজনক। আজকে চলুন জানবো পাঙ্গাস মাছ আহরণ ও অন্যান্য ব্যবস্থাপনায় করণীয় সম্পর্কে-
পাঙ্গাস মাছ আহরণ ও অন্যান্য ব্যবস্থাপনায় করণীয়ঃ
আহরণ ও বিক্রয়ঃ
- যেহেতু পাঙ্গাস অধিক ঘনত্বে চাষ করা হয়, সেহেতু ৫-৬ মাস পর যখন পাঙ্গাসের ওজন ৫০০-৬০০ গ্রাম হয়, তখনই ৫০% মজুদকৃত মাছ বাজারে বিক্রি করে দিতে হবে।
- উন্নত পদ্ধতিতে চাষ করলে ৮-১০ মাস পর পাঙ্গাস মাছ ১৫০০-১৮০০ গ্রাম হয়।
- এছাড়াও ৮-১০ মাস পর কাতলা ৮০০-১০০০ গ্রাম, রুই ৫০০-৭০০ গ্রাম ও মনোসেক্স তেলাপিয়া ২০০-২৫০ গ্রাম ওজনের হয়ে থাকে।
- পাঙ্গাস মাছের মিশ্রচাষে হেক্টর প্রতি ৪০-৫০ মে. টন উৎপাদন পাওয়া যায়।
অন্যান্য ব্যবস্থাপনাঃ
- পাঙ্গাস মাছ চাষে নিয়মিত (প্রতি ১৫ দিন অন্তর ২০-২৫% পানি পরিবর্তন) পানি পরিবর্তন করতে হবে।
- পুকুরের পানি ভালো রাখার জন্য ১৫ দিন পর পর হররা টেনে দিতে হবে।
- অ্যামোনিয়া গ্যাস দূর করার জন্য অ্যামোনিল (প্রতি একরে ২০০ মি.লি.) ব্যবহার করতে পারেন।
- চাষকালীন সময়ে শামুকের আধিক্য পরিলক্ষিত হলে শতাংশ প্রতি ১০০-২০০ গ্রাম ইউরিয়া প্রয়োগে শামুকের আধিক্য কমবে।
- ১৫ দিনে একবার নমুনা সংগ্রহ করে গড় বৃদ্ধির সাথে সঙ্গতি রেখে মোট খাদ্যের পরিমাণ ঠিক করে নিতে হবে।
- ক্ষত রোগ থেকে মাছকে মুক্ত রাখতে প্রতি মাসে একবার পুকুরে জিওলাইট অথবা চুন দিতে হবে (শতকে ২০০ গ্রাম)।
- মাছ নিয়মিত খাবার খায় কিনা সেদিকে সজাগ দৃষ্টি রাখতে হবে।
- একটানা মেঘলা আবহাওয়ায় কিংবা অতিরিক্ত বৃষ্টি হলে খাবারের পরিমাণ কমিয়ে দিতে হবে অথবা একেবারে বন্ধ করে দিতে হবে।
- এক পুকুরের জাল অন্য পুকুরে ব্যবহারের আগে ভাল পানির সাথে জিবাণু নাশক পটাশ মিশিয়ে পরিষ্কার করে নিন।
- গ্রীষ্মকালে অনেক সময় পুকুরের পানি কমে যায় এবং তাপমাত্রা বেড়ে যায়। তখন অনেক সময় পানিতে অক্সিজেনের ঘাটতি হয়। এরকম পরিস্থিতিতে খাবার প্রয়োগ কমিয়ে দিতে হবে।
আরও পড়ুনঃ পুকুরে তেলাপিয়া চাষে খাদ্য প্রয়োগ ও অন্যান্য ব্যবস্থাপনা
মৎস্য প্রতিবেদন / আধুনিক কৃষি খামার