লাভজনক হওয়ায় ঘাস চাষে ঝুঁকছেন রংপুরের কৃষকরা। রংপুরের কাউনিয়া উপজেলায় বাড়ির সামনের পতিত জমিতে নেপিয়ার ঘাস লাগিয়েছেন অনেকেই। বাজারে চাহিদা ভালো থাকায় সারাবছরই সহজে বিক্রি করা যায় এ ঘাস। ঝুঁকি ছাড়া, স্বল্প শ্রম ও খরচে এ ঘাস উৎপাদন করে আবুল কাশেমের মতো অনেক কৃষক লাভবান হচ্ছেন।
স্থানীয় কৃষক আবুল কাশেম বলেন, পাশের এলাকার একজনের ঘাস চাষ দেখে আমি উৎসাহিত হই। পরে বাড়ির পাশের পতিত জমিতে ঘাসের চাষ করি। অল্পদিনের মধ্যে ঘাস বড় হয়ে ওঠে। আমি বছরে ৭-৮ বার এ ঘাস কাটতে পারি। এতে করে প্রতিবছর ওই ঘাস বিক্রি করে আমি প্রায় ২৮ হাজার টাকা উপার্জন করি। ধানসহ অন্যান্য ফসল চাষে অনেক ঝুঁকি রয়েছে। এ ছাড়া যে পরিমাণ ওষুধ দিতে হয়, ধান বিক্রি করে আর কোনো কিছু হাতে থাকে না।
আরেক খামারি রফিকুল ইসলাম জানান, তিনি ১৪ শতক জমি লিজ নিয়ে বাণিজ্যিকভাবে ঘাস চাষ করেছেন। এসব ঘাস খামারের গরুর চাহিদা মিটিয়ে তিনি এ ঘাস বিক্রি করছেন। ঘাস চাষ করে নিজ খামারের গরুগুলোকে খাইয়ে তার প্রতি বছর প্রায় ৩০ হাজার টাকা আয় হচ্ছে। এ ঘাসের পুষ্টিগুণ বেশি, তাই গবাদি পশু এটি খেলে দ্রুত বড় হয় এবং দুধ দেয়। ফলে এ ঘাসের চাহিদা দিন দিন বৃদ্ধি পাচ্ছে।
জেলার প্রাণিসম্পদ অফিসার ডা. সিরাজুল ইসলাম বলেন, দিন দিন গবাদিপশুর দাম বৃদ্ধি পাওয়ায় খামারিরা ঘাস চাষে ঝুঁকছেন। আবার অনেকেই বাণিজ্যিকভাবে ঘাসের চাষ করে লাভবানও হচ্ছেন।
আরও পড়ুনঃ ভোলায় মাল্টা চাষে সফল স্কুল শিক্ষক মনিরুল
কৃষি প্রতিবেদন / আধুনিক কৃষি খামার