কৈ মাছ চাষিদের সাধারণ কিছু প্রশ্ন ও তার উত্তর নিয়ে আজকের এই লেখা। বর্তমানে অনেকেই পুকুরে কৈ মাছের চাষ করে থাকেন। কৈ মাছ চাষ করে অনেকেই স্বাবলম্বী হয়েছেন। আজকে চলুন জানবো কৈ মাছ চাষিদের সাধারণ কিছু প্রশ্ন ও তার উত্তর সম্পর্কে –
১। পানি পরিবর্তন করতে হবে কি….?
উত্তরঃ উচ্চ ঘনত্বের মজুদে অবশ্যই পানি পরিবর্তন করতে হবে, এর কোনো বিকল্প নেই । সপ্তাহে ১-২ দিন কিছু পরিমাণ পানি বের করে দিয়ে নতুন পানি ঢুকাতে হবে ।
২। খাবার প্রয়োগ সম্পর্কে জানতে চাই।
উত্তরঃ পোনা অবস্থায় দেহের ওজনের ২০% থেকে ক্রমান্বয়ে কমিয়ে ৩-৪ % এ নামিয়ে আনতে হবে । কৈ মাছ চরম খাদক প্রকৃতির। যতই খাদক হউক না কেনো তাদের পেট ভরিয়ে রাখার চেষ্টা করতে হবে তাহলেই নির্দিষ্ট সময়ে কাঙ্ক্ষিত গ্রোথ আসা সম্ভব । খাবার প্রয়োগে কিপ্টামি করলে মাছও আপনার সাথে কিপ্টামি শুরু করবে, তা বুঝতে পারবেন মাছ বিক্রির পর ।
৩। শতকে উৎপাদন লক্ষ্যমাত্রা কত কেজি?
উত্তরঃ ইহা পুরোটাই আপনার এফেসিয়েন্সির উপর নির্ভর করবে । শতকে ৮০-১০০ কেজি উৎপাদন লক্ষ্যমাত্রা রাখতে পারেন। নতুন চাষী হলে আরও কম রাখাই শ্রেয় ।
৪। সাথী ফসল হিসেবে কি মাছ দেওয়া যায়?
উত্তরঃ কৈ মাছের পুকুরে মাত্রাতিরিক্ত অ্যামোনিয়ার প্রকোপ থাকায় কার্পজাতীয় মাছের ভালো ফলাফল আসে না । কেজিতে ১০০ লাইনের শিং মাছ দিতে পারেন শতকে ৮০-১২০ পিচ বা মাগুর শতকে ৩০-৪০ পিচ ।
৫। অনেকেই বলে কৈ মাছ নাকি শতকে ২০০০ পিচও ছাড়া যায়, সেক্ষেত্রে আপনার বক্তব্য কি?
উত্তরঃ জ্বি শতকে ৫০০০ পর্যন্ত দিয়েও সফলভাবে হার্ভেস্ট করার রেকর্ড আছে আমার এলাকায় । মজুদ ঘনত্ব সংখ্যায় নয়, আপনি কি পরিমাণ মাছ প্রতি শতকে উৎপাদন করবেন তার উপর নির্ভর করবে ।
৬। কৈ মাছ কত পিসে কেজি আসলে বিক্রি করা ভালো?
উত্তরঃ আপনার এলাকার চাহিদা অনুযায়ী সিদ্ধান্ত নিতে হবে ৷ সাধারণত ৮ -১০ পিসে কেজি মাছের চাহিদা বেশি থাকে ।
৭। কৈ মাছ কতদিন বয়সে বাজারজাত উপযোগী হয়…?
উত্তরঃ রেণু থেকে ৯০ – ১১০ দিন ।
৮। সার প্রয়োগ করা যাবে?
উত্তরঃ কিসের জন্য সার প্রয়োগ করবেন ভাই, ফাইটোপ্লাংকটনের জন্য তাই ফাইটোপ্লাংক্টন ক্রাশ করে এমনিতেই অবস্থা খারাপ হয়ে যাবে নিয়মিত খাবার প্রয়োগ করলে । সার প্রয়োগ একপ্রকার নিষিদ্ধ বটে। প্রাকৃতিক খাবার উৎপাদনের কোনোও প্রয়োজন নেই। প্রাকৃতিক খাবার শুধুমাত্র পোনা অবস্থায় প্রয়োজন।