পাটের বাম্পার ফলনেও দুশ্চিন্তায় পড়েছেন রাজবাড়ীর স্থানীয় কৃষকরা। এ অঞ্চলের মাটি ও আবহাওয়া পাট চাষের জন্য খুবই উপযোগী। এবারের মৌসুমে রেকর্ড পরিমাণ পাটের চাষাবাদ হয়েছে জেলায়। তবে পাটের ফলন অনুযায়ী বাজারে ন্যায্যমূল্য না পাওয়ায় বেশ দুশ্চিন্তায় রয়েছেন কৃষকরা।
স্থানীয় পাট চাষি হোসেন আলী জানান, চলতি মৌসুমে বীজ, সার, নিরানি, পাট কাটা, জাগ দেওয়ার জন্য কামলা, জাগ দেওয়ার জন্য পরিবহন বাবদ বিঘা প্রতি ১০ থেকে ১২ হাজার টাকা খরচ হয়েছে। আর প্রত্যেক বিঘায় ৮ থেকে ১০ মণ পাট উৎপাদন হয়েছে। প্রত্যেক মণ পাট বিক্রি হচ্ছে ২৫০০ থেকে ৩০০০ টাকায়।
আরেক কৃষক ইউসুফ আলী বলেন, এবারের মৌসুমে পাটের ফলন ভালো হলেও পাট জাগ দেওয়ার জন্য পানি পাওয়া যাচ্ছে না। ফলে, ভ্যান ভাড়া করে দূরে নিয়ে পাট জাগ দিতে হচ্ছে। এছাড়া এবছর শ্রমিকের প্রচণ্ড সঙ্কট রয়েছে। ফলে যে শ্রমিক পাওয়া যাচ্ছে, তাদেরকেও বেশি পারিশ্রমিক দিতে হচ্ছে। তাই এবার ন্যায্য দামে পাট বিক্রি করতে না পারলে লোকসানে পড়তে হবে।
জেলার কৃষি সম্প্রসারণ বিভাগের উপ-পরিচালক এস.এম শহীদ নূর আকবর জানান, গত বছরের চেয়ে এবারের মৌসুমে পাটের চাষ অনেক বেশি হয়েছে। এ বছর জেলার সদর উপজেলায় ১০ হাজার ১৪০ হেক্টর, পাংশায় ১১ হাজার ৭০০ হেক্টর, কালুখালীতে ৯ হাজার ৩৫০ হেক্টর, বালিয়াকান্দিতে ১২ হাজার ৫৫০ হেক্টর, গোয়ালন্দতে ৪ হাজার ২৮০ হেক্টর জমিতে পাটের চাষ করা হয়েছে।
আরও পড়ুনঃ জয়পুরহাটে জনপ্রিয় হয়ে উঠছে মাচায় তরমুজ চাষ
কৃষি প্রতিবেদন / আধুনিক কৃষি খামার