রেণুর চাষের জন্য পুকুর প্রস্তুতিতে যে কাজগুলো করতে হবে সেগুলো মৎস্য চাষিদের সঠিভাবে জেনে রাখতে হবে। বর্তমান অনেকেই পুকুরে মাছের চাষ করে স্বাবলম্বী হচ্ছেন। এর প্রধান কারণ আগের তুলনায় প্রাকৃতিক উৎসে মাছের উৎপাদন কমে যাওয়। আজকের এ লেখায় আমরা জেনে নিব রেণুর চাষের জন্য পুকুর প্রস্তুতিতে যে কাজগুলো করতে হবে সেই সম্পর্কে-
রেণুর চাষের জন্য পুকুর প্রস্তুতিতে যে কাজগুলো করতে হবেঃ
১। পুকুর প্রস্তুতির শুরুতেই পুকুরে সেচ দিয়ে নিতে হবে। তার পর সমস্ত মাছ সরিয়ে ফেলুন। বিশেষভাবে লক্ষ্য রাখতে হবে যাতে কোন রাক্ষুসে মাছ না থাকে। পুকুর পাড়ের আগাছা এবং ভেতরের আবর্জনা পরিষ্কার করতে হবে। ভাল করে পাড় গুলো চেক করুন কোথাও কোন গর্ত আছে কিনা, থাকলে ভাল ভাল ভাবে বন্ধ করতে হবে অন্যথায় পোনা বের হয়ে যাওয়ার সম্ভবনা আছে। চারপাশে নেটের বেড়া দিন। তলায় রোদ লাগাতে পারলে ভাল হয়।
২। শতাংশে ৫০০গ্রাম করে চুন প্রয়োগ করুন। পুকুরের পরিবেশ খারাপ হলে আরো বেশিও দিতে পারেন। লক্ষ্য রাখুন পাড়ের যে পর্যন্ত পানি লোড দিবেন ঐ পর্যন্ত চুন ছিটিয়ে দিন। এর পর দু তিন দিন পর পানি ঢোকান। কমপক্ষে ৫ দিন অপেক্ষা করুন। দেখবেন পানির আয়রণ কেটে গিয়ে হালকা সবুজ হয়েগেছে। এরপর
৩। শতাংশে ২০০ গ্রাম জিওলাইট এবং ৫ থেকে ১০ গ্রাম হারে যে কোন ভাল কোম্পানির গ্যাসের ঔষধ প্রয়োগ করুন। পরের দিন জাল অথবা হড়রা দিয়ে তলদেশ আলোড়িত করুন। এর দুদিন পর শতাংশে ১০০গ্রাম সুজি আটা জ্বালদিয়ে লেই তৈরী কের(৪) সুজি আটার লেই এর সাথে ৫০ গ্রাম হারে লালি মিশিয়ে সমান ভাবে ছিটিয়ে দিন। এর ২ দিন পর টিমসেন বা যে কোন ভাল জীবাণুনাশক ব্যবহার করুন।
৪। রেণু দেওয়ার কমপক্ষে ২৪ ঘন্টা আগে হাঁসপোকা ও পরজীবি দমনের জন্য শতাংশে ৫ গ্রাম কিলার আরগুলাক্স, ফিসলাইফ অথবা এজাতীয় ঔষধ ব্যহার করুন। অতপর ৭ পিএইচ মেপে দেখুন ঠিক আছে কি না। যদি ঠিক থাকে, তাহলে সকালে রোদে পানি গরম হওয়ার আগে বা বিকালে রোদের তাপ কমলে রেনু দিন।
৫। রেণু দেওয়ার আগে কম পক্ষে ১ঘন্টা অক্সিজেন যুক্ত রেনুর পেকেট পুকুরে ভাসিয়ে রাখুন। যেন পুকুরের পানির সাথে খাপ খাইয়ে নিতে পারে।
আরও পড়ুনঃ শিং মাছ চাষে ব্যাকটেরিয়াজনিত রোগ দমনে করণীয়
মৎস্য প্রতিবেদন / আধুনিক কৃষি খামার