মোটাতাজাকরণের জন্য নির্বাচিত গরুর স্বাস্থ্য পরীক্ষা ও চিকিৎসা পদ্ধতি সম্পর্কে দেশের বেশিরভাগ খামারিরাই জানেন না। খামারে গরু পালনের জন্য গরু নির্বাচন করা খুবই জরুরী। আর নির্বাচিত গরুর মাধ্যমে লাভবান হওয়ার জন্য গরুর স্বাস্থ্য পরীক্ষা করা ও রোগের চিকিৎসা প্রদান করাও তেমন জরুরী। চলুন আজকে জানবো মোটাতাজাকরণের জন্য নির্বাচিত গরুর স্বাস্থ্য পরীক্ষা ও চিকিৎসা সম্পর্কে-
মোটাতাজাকরণের জন্য নির্বাচিত গরুর স্বাস্থ্য পরীক্ষা ও চিকিৎসাঃ
১। খামারের জন্য গরু কেনার পর প্রথম ২ সপ্তাহ মূল ফার্ম থেকে আইসলেশন শেডে রাখতে হবে। এর ফলে বুঝা যাবে কিনে আনা গরু কোন রোগে আক্রান্ত হয়েছে কিনা এবং থাকলে তার ব্যবস্থা নিবে এবং আইসোলেশন পিরিয়ড শেষে তাদরকে মূল খামারে সংযুক্ত করতে হবে।
২। ক্রয় করা গরুগুলো কোন রোগে আক্রান্ত কিনা তা ভালোভাবে পরীক্ষা করে সঠিকভাবে চিকিৎসা করে সুস্থ করে তুলতে হবে।
৩। গরুকে ডি-ওয়ার্মিং এর মাধ্যমে কৃমিমুক্ত করতে হবে। কারণ আমাদের দেশের প্রায় ১০০% পশু কৃমিতে আক্রান্ত হয় এ জন্য পশু ক্রয় করার পর অবশ্যই কৃমিনাশক ঔষধ প্রয়োগ করতে হবে। এর পর ঐ পশুকে ৩ থেকে ৪ মাস পর পর পুনরায় কৃমিনাশক ঔষধ খাওয়াতে হবে। বাজারে বিভিন্ন ধরনের ব্রড স্প্রেকটাম কৃমিনাশক ঔষধ পাওয়া যায়।
বিভিন্নি রোগের টিকাঃ
গরুকে কোন টিকা দেওয়া না থাকলে ক্রয় করার ৭ দিন পর থেকে বিভিন্ন ধরনের টিকা ১৫ দিন পর পর দিতে হবে। নিম্নে বর্ণিত রোগের টিকা গরুকে প্রয়োগ করতে হয় যেমন- তড়কা, ক্ষুরা, বাদলা, গলাফুলা ইত্যাদি।
আরও পড়ুনঃ গাভী গর্ভবতী হলে সঠিক যত্নে খামারিদের করণীয়
ডেইরি প্রতিবেদন / আধুনিক কৃষি খামার