ঝিনাইদহে একে একে মারা গেল ১১টি ভেড়া। নিজের সন্তানুতূল্য ভেড়াগুলোর মৃত্যুতে বুকভরা আর্তনাদে ফেটে পড়েন খামারি। এই মর্মান্তিক ঘটনাটি ঘটেছে ঝিনাইদহের কালীগঞ্জ উপজেলার কমলাপুর গ্রামের আফজাল হোসেন ও আরজিনা বেগম দম্পতির বাড়ীতে। প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরের কৃমিনাশক ওষুধ খাওয়ালে ভেড়াগুলো মারা যায় বলে অভিযোগ করেছেন ভুক্তভোগীরা।
জানা যায়, প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তর থেকে কৃমিনাশক ওষুধ নিয়ে গতকাল(বুধবার, ১৮ আগস্ট) সেই ওষুধ খাওয়ানোর খাওয়ানোর পরপরই ভেড়াগুলো ছটফট করতে থাকে। আধা ঘণ্টার মধ্যেই ভেড়া মারা যেতে শুরু করে। একে একে বেলা তিনটা পর্যন্ত ১১টি মারা যায়।
স্থানীয় বাসিন্দা আফজাল হোসেন বলেন, নিজদের কোন সন্তান না থাকায় ভেড়াগুলোকে নিজের সন্তানের মত লালন পালন করে আসছিলাম। এই ভেড়া পালন করেই চলছিলো আমাদের সংসার। গত পাঁচ বছর আগে ৫টি ভেড়া দিয়ে স্বল্প পরিসরে শুরু করলেও বর্তমানে খামারে ৩০টি ভেড়া ছিলো। কিন্তু প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরের ঔষধ খাওয়ালে ভেড়াগুলো মারা যেতে থাকে। এ পর্যন্ত ১১ টি ভেড়া মারা গেলেও আরও ৭টি ভেড়া অসুস্থ হয়ে আছে।
তিনি আরও জানান, বড় ভেড়াগুলো বাজারে বিক্রি করলে ৩৫ হাজার টাকা করে বিক্রি করা যেত। এছাড়াও ছোট ভেড়াগুলো ৭ থেকে ৮ হাজার টাকায় বিক্রি হত। কিন্তু ভেড়াগুলো মারা যায় অনেক টাকার ক্ষতি হল । সামনের দিনগুলো কিভাবে এই ক্ষতি কাটিয়ে উঠবেন সেটা ভেবেই কুল পাচ্ছেননা বঅলে তিনি জানান।
উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা আতিকুজ্জামান বলেন, সবকিছু শুনে তাঁর ভেড়াগুলোর জন্য কৃমির ওষুধ দেওয়া হয়। সেগুলো তিনি যথানিয়মে খাওয়ালে এভাবে মারা যাওয়ার কথা নয়। এরপরও কেন মারা গেল, তা নিশ্চিত হতে তাঁরা নমুনা সংগ্রহ করেছেন।
তথ্য সূত্রঃ প্রথম আলো
ডেইরি প্রতিবেদন / আধুনিক কৃষি খামার