পাঙ্গাস মাছ চাষে ব্যাপক সফলতা পাওয়ার পাশাপাশি বাজিমাত করেছেন ময়মনসিংহের ত্রিশাল উপজেলার সদর ইউনিয়নের কোনাবাড়ি এলাকার মাছ চাষি জয়নাল আবেদিন। ৬০ একর জমিতে ২০টি পুকুরে চাষ করেন পাঙ্গাস মাছ। প্রতি বছর শুধুমাত্র পাঙ্গাস মাছই বিক্রি করেন ২০ কোটি টাকার। তার দেখাদেখি এখন এলাকার অনেকেই মাছ চাষে নিজেদের ভাগ্য ফিরিয়েছেন বলে জানান জয়নাল।
জানা যায়, ১৯৯৫ সালে পাঙ্গাস মাছের চাষ শুরু করেন জয়নাল। বর্তমানে প্রতি বছরে তিনি দেড় থেকে দুই হাজার মেট্রিক টন পাঙাশ বিক্রি করেন। দামে তুলনামূলক সস্তা ও বাজারে চাহিদার পাশাপাশি উৎপাদন ও উৎপাদন ব্যয় কম থাকায় বর্তমানে জেলায় পাঙ্গাস মাছ চাষিদের সংখ্যা বৃদ্ধি পেয়েছে। বর্তমানে জেলার ছয় হাজার ১৭৫ খামারি পাঙ্গাস চাষ করছেন বলেও জানায় স্থানীয় মৎস্য অফিস।
জয়নাল আবেদিন বলেন, ১৯৯৫ সাল থেকেই পাঙ্গাস মাছ চাষ করছি। বছরে একবার মাছ ধরে বিক্রি করি। কোনও কোনও বছর ২০ কোটি টাকার ওপরেও বিক্রি হয় বলেও তিনি জানান।
তিনি আরও বলেন, বর্তমানে ওষুধ ও মাছের খাবারের দাম বেড়ে যাওয়ায় এখন পাঙাশ চাষে লাভ করাটা কষ্টসাধ্য হয়ে দাঁড়িয়েছে। বাজারে অন্যান্য মাছের তুলনায় দাম কম হওয়ায় সব শ্রেণির মানুষ পাঙাশ কিনতে পারছে। তরুণদের এসএমই ঋণ দিয়ে মাছ চাষে আগ্রহী করতে সরকার উদ্যোগ নিলে দেশে কর্মস্থান সৃষ্টির পাশাপাশি কর্মক্ষম মানুষের সংখ্যা বাড়বে বলে তিনি মনে করেন।
এ প্রসঙ্গে বিএফআরআইয়ের মহাপরিচালক ড. ইয়াহিয়া মাহমুদ বলেন, দেশে পাঙাশ মাছের চাহিদার অর্ধেক ময়মনসিংহের খামারিরা জোগান দিয়ে আসছেন। পাঙাশ চাষের শুরু থেকেই বিএফআরআইয়ের বিজ্ঞানীরা চাষিদের কারিগরিসহ নানাভাবে সহায়তা করছেন। আমরা সবসময় তাদের পাশে আছি।
সূত্রঃ বাংলা ট্রিবিউন