গলদা চিংড়ি চাষে পুকুর তৈরির সময় যা বিবেচনা করতে হবে সেগুলো মৎস্য চাষিদের সঠিকভাবে জানতে হবে। আগে আমাদের দেশের প্রাকৃতিক উৎস তথা নদী-নালা, খাল-বিলে প্রচুর পরিমাণে মাছ পাওয়া যেত। তবে এখন আর না পাওয়া যাওয়ায় অনেকেই পুকুরে মাছ চাষ করছেন। আসুন আজকে জানবো গলদা চিংড়ি চাষে পুকুর তৈরির সময় যা বিবেচনা করতে হবে সেই সম্পর্কে-
১। সূর্যের আলো কমপক্ষে ৮ ঘন্টা থাকতে হবে। কেননা আলো ছাড়া পানিতে প্রাকৃতিক খাদ্য তৈরি হয় না। খোলামেলাভাবে বাতাস চলাচল না করলে অক্সিজেনের অভাব হবে এবং গলদা ও মাছের রোগ আক্রমণের আশংকা বেড়ে যাবে।
২। খামারে পর্যাপ্ত পরিমাণ পানি নিষ্কাশন ও সরবরাহের ব্যবস্থা করতে হবে।
৩। অবাঞ্চিত কিছু যাতে না থাকে তার জন্য পুকুর শুকিয়ে এবং বিষ প্রয়োগ যেমন, রোটেনন পাউডার, চা বীজের খৈল, ক্যালসিয়াম কারবাইড ইত্যাদি ব্যবহার করে দূর করতে হবে।
৪। পুকুরের তলদেশ সমান হলে জাল টানা ও মাছ ধরা সহজ হবে।
৫। ভাল উৎপাদন পাওয়ার জন্য আগাছা পরিষ্কার করা আবশ্যক।
৬। পুকুর পাড়ের আবেষ্টনী বন্যার পানির সর্বোচ্চ উচ্চতা হতে প্রায় দেড় ফুট উঁচু হতে হবে, মাথা চওড়া এবং ঢাল এঁটেল অথবা দো-আঁশ হবে। লক্ষ্য রাখতে হবে যাতে কাঁকড়া, ইঁদুর বা অন্যান্য প্রাণী দ্বারা গর্ত করতে না পারে।
৭। পানির সুব্যবস্থার জন্য মটর কিংবা শেলো মেশিনের ব্যবস্থা করতে হবে।
৮। পানির আগমন ও নির্গমন মুখে অবশ্যই প্রতিবন্ধক স্থাপন করতে হবে।
৯। জলাশয়ে পানির গভীরতা ৩ থেকে ৪ ফুট হবে এবং বেশি গভীর হলে উৎপাদন কমে যাবে।
১০। চুন প্রয়োগ করে মাটি ও পানির অম্লত্ব নিরপেক্ষ রাখতে হবে।
১১। পরিমিত মাত্রায় সার ব্যবহার নিশ্চিত করতে হবে।
১২। প্রাকৃতিক খাদ্য পর্যবেক্ষণ করতে হবে ও পানির বিষাক্ততা পরীক্ষা করতে হবে।
১৩। খোলস বদলের সময় আশ্রয়স্থল স্থাপন করতে হবে।