বিনিয়োগ করার পূর্বে এই ৩টি সিদ্ধান্ত নিতে হবে
বিনিয়োগ মানে sacrifice করা, বর্তমানকে কাজে লাগিয়ে সামনে ভালো কিছু রিটার্ন আশা করা। বিনিয়োগ করা মানেই এই না যে, প্রফিট বা লাভ হবেই। বিনিয়োগের অন্যতম বৈশিষ্ট্য ঝুঁকি গ্রহণ করা এবং ঝুঁকি বিশ্লেষণ করে ভালো লাভ প্রত্যাশা করা।
আপনি যেই খাতে বিনিয়োগ করেন না কেন, কিছু বিষয় মাথায় রাখতে পারলে বিনিয়োগের মাধ্যমে লাভবান হওয়া যায়। আসুন জানার চেষ্টা করি, বিনিয়োগ করার পূর্বে কোন ৩টি গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত নিতে হবে।
Investment Decision বা বিনিয়োগ সিদ্ধান্ত মানে হচ্ছে আপনার জন্য থাকা বিভিন্ন অপশন থেকে সেরা বিনিয়োগের মাধ্যমটি খুঁজে বের করা।
মানসিক প্রস্তুতির সাথে সাথে যেখানে বিনিয়োগে করবেন সেই খাতে কি কি সুবিধা ও অসুবিধা আছে তা জানতে হবে।
যেমন আপনি যদি জায়গা-জমিতে বিনিয়োগ করতে চান তাহলে যেমন অধিক লাভ হওয়ার সম্ভাবনা আছে, অন্যদিকে বিনিয়োগটি তারল্যে সংকটে পড়তে পারে। যেমন জমিটি বিক্রি করতে চাইলেই সাথে সাথে বিক্রি করা নাও যেতে পারে।
আবার আপনি যদি শেয়ার বাজারে বিনিয়োগ করেন তাহলে এখানে কি কি সুবিধা ও অসুবিধা আছে তা জানতে হবে।
মূলকথা, বিনিয়োগে আসার আগে কোথায় বিনিয়োগ করছেন সেই সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে হবে। আরো পড়ুন – বাংলাদেশের বিনিয়োগ মাধ্যম
Financials Decision বা আর্থিক সিদ্ধান্ত যে কোন বিনিয়োগের জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ। আর্থিক সিদ্ধান্তের মূলে রয়েছে আপনি কত টাকা কত দিনের জন্য বিনিয়োগ করতে চান তা স্পষ্ট করা।
নিজের জন্য দরকারী সকল খরচ বাদ দিয়েই আপনাকে বিনিয়োগে আসতে হবে। এখন আপাতত ২/৩ মাস আপনার কাছে কিছু টাকা আছে, তাই ভাবলেই এই ২/৩ মাস টাকা অলস না রেখে বিনিয়োগ করে রাখি, এটা খালী চোখে ঠিক থাকলেও বিনিয়োগের বেলায় ঠিক নেই।
কেননা আপনি নিশ্চিত না, আপনার ক্রয়কৃত সম্পদের এই ২/৩ মাস এর Future Value কমেও যেতে পারে। তাই আপনাকে বিনিয়োগের জন্য দীর্ঘমেয়াদী বিনিয়োগ সিদ্ধান্ত নিতে হবে, যা কমপক্ষে এক বছর।
এছাড়া অনেক সময় লোন করে অনেকেই বিনিয়োগের সিদ্ধান্ত নিয়ে থাকে। এটা সব সময় দোষের কিছু না, যদি আপনি মনে করেন, লোন করে বিনিয়োগ করার পরও আপনার কাঙ্ক্ষিত ফলাফল ভালো আসতে পারে তাহলে লোন করতে পারেন।
তবে অবশ্যই ভালো করে গবেষণা করেই এই সিদ্ধান্ত নিতে হবে। বিনিয়োগের জন্য প্রায় অনেক প্রতিষ্ঠান লোন করে যা তাদের জন্য হয়ত মঙ্গল, অপর দিকে সাধারন বিনিয়োগকারীদের জন্য মঙ্গল নাও হতে পারে।
এটি এমন একটি সিদ্ধান্ত যার আপনাকে আর্থিক স্বাধীনতা এনে দিতে পারে। Distributional Decision মানে হচ্ছে আপনি বিনিয়োগের মাধ্যমে যেই কাঙ্ক্ষিত ফলাফল অর্জন করতে পেরেছেন, যেই ফলাফল কোথায় কিভাবে খরচ করবেন না বোঝায়।
যেমন আপনি ৫ লাখ টাকা শেয়ার বাজারে বিনিয়োগ করে ২ মাস পরে ৬ লাখ টাকা হলো, মানে হচ্ছে ২ মাসে ১ লাখ টাকা প্রফিট বা লাভ হলো।
এখন এই টাকা আপনি কি পুনরায় বিনিয়োগ করবেন নাকি বাজার থেকে তুলে নিয়ে যাবেন? যদি টাকা তুলে নিয়ে যান তাহলে সেই টাকা কি করবেন এর স্পষ্ট ধারনা থাকতে হবে।
একই ভাবে partnership বা অংশীদারিত্ব বিনিয়োগের বেলায়ও একই বিষয় কাজ করবে। লাভের টাকা তুলে নিয়ে কোথায় পুনরায় বিনিয়োগ হবে নাকি অংশীদারদের মধ্যে ভাগ করে দেওয়া হবে তার পরিকল্পনা থাকতে হবে।
শেষ কথা, সঞ্চয় ও বিনিয়োগ এক না। বিনিয়োগে টাকার সাথে মেধা, বুদ্ধি, শ্রম দিতে হয়, যা সঞ্চয় এত কিছু লাগে না। তবে বিনিয়োগে ঝুঁকি আছে, এবং এই ঝুঁকি পরিকল্পনা মাফিক নিতে পারলে আপনার জন্য আর্থিক স্বাধীনতা হাতছানি দিতেই পারে। ভিজিট করুন আমাদের ইউটিউব চ্যানেল – Bangla Preneur YouTube Channel