গাভীর খামারে সফল হয়েছেন মাহামুদুল হক। তিনি রংপুর জেলার তারাগঞ্জ উপজেলার ফরিদাবাদ গ্রামের বাসিন্দা। ১০ বছর আগে শুরু করা খামার থেকে এখন তাঁর মাসিক আয় প্রায় ৭০ হাজার টাকা। তার দেখাদেখি এখন অনেকেই আগ্রহী হয়ে শুরু করেছেন গরুর খামার।
মাহামুদুল হক জানান, ২০১০ সালে তিনি রংপুরের পীরগাছা উপজেলার জাদুলস্কর গ্রামে এক আত্মীয়ের বাড়িতে বেড়াতে যান। সেখানে বড় বড় গাভির খামার দেখে এসে গাভি পালনের পরিকল্পনা করেন। বিষয়টি নিয়ে মাহামুদুল তাঁর বাবা মোজাহারুল ইসলামের সঙ্গে পরামর্শ করেন। একই বছরের জুনে নিজের জমানো ২০ হাজার এবং বাবার কাছ থেকে ৩০ হাজার টাকা নিয়ে দুটি শংকর জাতের বকনা বাছুর কেনেন।
তিন বছর পর বাছুর দুটি গাভিতে পরিণত হয়। প্রতিদিন ৩০ লিটার দুধ দিতে শুরু করে। এ দুধ বিক্রি করে খরচ বাদে দিনে প্রায় ৪০০ টাকা আয় হয়। এভাবে ২ বছরে আরও চারটি শংকর জাতের গাভি কেনেন। ছয়টি গাভি দিয়ে শুরু করেন ডেইরি খামার। বর্তমানে মাহামুদুলের খামারে দেশি-বিদেশি গাভি মিলে মোট গাভির সংখ্যা ২৬টি। প্রতিদিন খামার থেকে গড়ে ১৪০ থেকে ১৫০ লিটার দুধ পান।
স্থানীয়রা বলেন, গাভী পালন করে মাহামুদুল শুধু নিজের ভাগ্যই বদল করেননি। অন্যে যুবকদেরও পরামর্শ দিয়ে স্বাবলম্বী করে তুলেছেন। গ্রামের মাহাবুব রহমান, একরামুল ইসলাম, মিজানুর রহমান, দেলওয়ার হোসেন, মিনহাজুল ইসলাম, আবু বক্করসহ অনেকে ছয়-সাত বছর ধরে গাভি পালন করে এখন অনেকেই ডেইরি খামারের মালিক।
উপজেলার প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ফরহাদ নোমান জানান, আমি বেশ কয়েকবার তাঁর খামার পরিদর্শন করেছি। যেকোনো সমস্যায় আমরা তাঁর পাশে থাকি। শৃঙ্খলা ও পরিচ্ছন্নতায় তাঁর খামার অন্য খামারিদের কাছে উদাহরণ হতে পারে। তা ছাড়া তাঁর দেখানো পথে খামার করে তারাগঞ্জের অনেক তরুণ এখন স্বাবলম্বী হয়েছেন।
আরও পড়ুনঃ গরু খাদ্য ঠিকমতো না খেলে যেসব ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে
সূত্রঃ প্রথম আলো
ডেইরি প্রতিবেদন / আধুনিক কৃষি খামার