গাইবান্ধায় হাঁসের খামারে স্বাবলম্বী হয়েছেন আবু তালেব। তিনি গাইবান্ধার পলাশবাড়ী উপজেলার বৈরিহরিণমাড়ী গ্রামের বাসিন্দা। নিজের পরিবারকে দারিদ্রমুক্ত করতেই শুরু করেন হাঁসের খামার। অল্প কয়েক মাসের মধ্যেই এই খামারেই স্বাবলম্বী হন তিনি।
জানা যায়, প্রায় ৬ মাস আগে গাইবান্ধার সুন্দরগঞ্জ থেকে ক্যাম্বেল জাতের ৫০০ পিস হাঁসের বাচ্ছা কিনে বাড়িতে শুরু করে খামার। এসব হাঁস বর্তমানে প্রতিদিন ২০০টি করে করে ডিম দিচ্ছে। এরপর থেকে আর কখনো পিছন ফিরে তাকাতে হয়নি তাকে। উৎপাদিত ডিম ও হাঁস বিক্রির লাভের টাকা দিয়েই সুখে চলছে তার সংসার।
হাঁসের খামারি আবু তালেব বলেন, আমি প্রশিক্ষণ ছাড়াই হাঁসের খামার গড়ে তুলেছি। কঠোর পরিশ্রম আর দৃঢ় মনোবল নিয়ে খামারটি পরিচালনা করছি। বর্তমানে হাঁসের খাবার, ওষুধ ও অন্যান্য খরচ বাদে মাসে প্রায় ২০ হাজার টাকা লাভ হচ্ছে। তবে কিছুদিন আগে টানা লকডাউনের কারণে কিছুটা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছি। এখন হাঁসের খামার করে আর্থিকভাবে স্বচ্ছলতা ফিরে পেয়েছি।
উপজেলার প্রাণিসম্পদ কার্যালয়ের উপ-সহকারী কর্মকর্তা আতাউর রহমান জানান, উদ্যোক্তা আবু তালেব মিয়ার খামারে পরামর্শ প্রদান করা হচ্ছে। তাকে আরও লাভবান করতে সর্বাত্নক চেষ্টা অব্যাহত রয়েছে। আরও কেউ হাঁস পালন করতে চাইলে আমরা তাদেরকেও সহযোগিতা করবো।
আরও পড়ুনঃ মুরগি ও কবুতর পালনে স্কুলছাত্র তাহসিনের অভাবনীয় সাফল্য
পোলট্রি প্রতিবেদন / আধুনিক কৃষি খামার