চলতি মৌসুমে পটুয়াখালীর গলাচিপা উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় পানের চাষ করে বাম্পার ফলন পেয়েছেন কৃষকরা। আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় ও জমি চাষের উপযোগী হওয়ায় এমন ভালো ফলন পেয়েছেন তারা। তবে বাজারে পানের ন্যায্য দাম না পেয়ে হতাশ এখানকার চাষিরা।
পান চাষি আবদুল লতিফ তালুকদার বলেন, বিগত বছরে আমাদের দেশের দক্ষিণ অঞ্চলের পান দেশ বিদেশেও রপ্তানি হয়েছে, ‘পান’ চাষিরাও পেয়েছে সঠিক দাম। বর্তমানে লক্ষ লক্ষ অর্থ ব্যায় করে অনেক উন্নত মানের পান বাম্পার চাষ হলেও, বাজারে তেমন দাম না পাওয়ায় হতাশায় আর দুঃশ্চিতায় দিন কাটাতে হচ্ছে। তাছাড়া ‘পান’ চাষিদের জন্য সরকার সঠিকভাবে কোন পদক্ষেপ না নেওয়ায় ‘পান’ চাষ থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে পথে বসে যাচ্ছে প্রান্তিক পান চাষিরা।
বকুলবাড়িয়া ইউনিয়নের প্রান্তিক ‘পান’ চাষি মোঃ ইলিয়াস হোসেন, ইব্রাহীম গাজী, গোবিন্দ চন্দ্র, তারা বলেন আমরা এক একজনের ২০ থেকে ১’শত কুড়ি পানের বরে লক্ষ লক্ষ টাকা পুঁজি খাটিয়ে ‘ পান’ চাষ করে আসছি। এছাড়া এক সময় আমাদের এ দক্ষিণ অঞ্চলের পটুয়াখালীর জেলার ‘পান’ জনপ্রিয় হওয়ায় প্রকৃত দাম পেয়ে স্বাবলম্বী হয়ে জীবন-জীবিকা পরিচালিত করেছি। কিন্তু বর্তমানে ‘পানের’ দাম না পেয়ে প্রতিদিন ঋনগ্রোস্ত হয়ে দিশেহারা হয়ে পরছি।
উপজেলার কৃষি অফিসার আরজু আক্তার জানান, বিশ্বের মাহামারী ভাইরাসের কারণে পান রপ্তানি বন্ধ হলেও, সরকার পুনোরায় ইউরোপ এবং সার্ক ভূক্ত এশিয়া দেশ গুলোতেও পান রপ্তানি শুরু করছে। তবে হ্যা এটা সঠিক যে বর্তমানে প্রচুর পরিমানে ‘পান’ চাষ হওয়ায় ‘পানের’ দাম পূর্বের চেয়ে একটু কমের দিকে। তবে ‘পান’ চাষিরা শীঘ্রই এ সমস্যা থেকে উঠে দারাবেন আশা করি।
আরও পড়ুনঃ চাঁদপুরে পাট চাষে আগ্রহ হারাচ্ছে কৃষকরা
কৃষি প্রতিবেদন / আধুনিক কৃষি খামার