সুন্দরবন ডেক্স: সময়কাল ১৮৯৬-৭, আসিব উদ্দিন তালুকদার সহ তারা ৩ ভাই সুন্দরবনে ঘুরতে আসে, সুন্দরবন সংলগ্ন থানার বাজার গ্রামটি মনোরম পরিবেশ থাকার কারণে তাদের পছন্দ হয়। তখন শরণখোলা, মোরেলগঞ্জ থানার অধীনস্থ ছিল।
বনগাঁর জমিদারের কাছ থেকে ৭০০ কুরা জমি বন্দোবস্ত নেয়। পরবর্তীতে তিনি বসতবাড়ি তৈরি করে থানার বাজারে স্থায়ীভাবে বসবাস শুরু করে। তখন এখানে একটি বন বিভাগের অফিস ছিল। পরবর্তীতে সময়ের প্রয়োজনে (তথ্যসূত্র) ব্রিটিশ শাসনআমল অর্থাৎ ১৯০৭ সালে সুন্দরবন সংলগ্ন ভোলা নদীর পাদদেশে পূর্বের থানার বাজার, বর্তমান রসুলপুর বাজারে শরণখোলার প্রথম থানা স্থাপিত হয়। তখন থানার জন্য জমি দান করেন আসিফ উদ্দিন তালুকদার, জমির পরিমাণ প্রায় ৮ একর।
সুন্দরবনের সম্পদ সংরক্ষণ ও এ অঞ্চলের শান্তি শৃংখলা রক্ষার্থে থানাটির সৃষ্টি হয়।
দেশভাগের পরে অর্থাৎ ১৯৪৭ সালে ব্রিটিশ সরকার বিতাড়িত হলে পরে এর দায়িত্বভার পাকিস্তানের উপর পড়ে।
স্থানীয় জনগণের সাথে কথা বলে জানা যায় ১৯৬৬ সালের বন্যায় থানাটি ব্যাপক ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ার কারণে থানার বাজার থেকে স্থানান্তর করে থানাটি অস্থায়ীভাবে রায়েন্দা বাজারে বর্তমান ৩নং রায়েন্দা ইউনিয়ন পরিষদে কার্যক্রম শুরু করে, কিছুদিন পরে স্থায়ীভাবে বর্তমান স্থানে কার্যক্রম শুরু করে।
থানাটি রায়েন্দা আসার পরে ১জন দারোগা, ১ জন জোমাদ্দার, ১ জন বকশি ও ৬ জন কনেষ্টবল নিয়ে কার্যক্রম শুরু করে।
এ অঞ্চলের গুরুত্বপূর্ণ প্রত্নতাত্ত্বিক নিদর্শনের এটি একটি।
থানাটি প্রায় ৮ একর জায়গা নিয়ে স্থাপিত হলেও, বর্তামনে কিছু জায়গা বেদখল রয়েছে, গত ৫৪ বছরে কিছু জমি স্থানীয়দের দখলে চলে গেছে। তারা জমিতে ধান চাষ ও ঘরবাড়ি এবং বিভিন্ন স্থপনা তৈরি করছে।
আমাদের প্রত্নতাত্ত্বিক নিদর্শনগুলোর সঠিক সংরক্ষণ ব্যবস্থা ও রক্ষণাবেক্ষণ করা না গেলে আমাদের ঐতিহ্যর ধারক ও বাহক এ সব অমূল্য নিদর্শন অচিরেই বিস্মৃতির অতল গহ্বরে হারিয়ে যাবে৷ তাই এ বিষয়ে যথাযথ উদ্যোগ গ্রহণ করার এখনই সময়৷
সে জন্য জনসাধারণকে সচেতন ও সম্পৃক্তকরণ, প্রত্নবস্তু সংরক্ষণে সংশ্লিষ্ট আইনকে যুগোপযোগী করা, পেশাজীবী দক্ষ জনবল তৈরি করা, সরকারের পাশাপাশি বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের অংশগ্রহণ নিশ্চিত করে জনগণের সম্পৃক্ততা বাড়িয়ে প্রত্নতাত্ত্বিক নিদর্শন সংরক্ষণে কাজ করা যেতে পারে৷
সর্বোপরি গণমাধ্যম ও সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যমের সচেতন ভূমিকা গ্রহণের মাধ্যমে প্রত্নতাত্ত্বিক নিদর্শন সুরক্ষায়, সংরক্ষণে জনগণের অংশগ্রহণ নিশ্চিত করা যেতে পারে৷
তথ্যসূত্র : উইকিপিডিয়া, বাংলাপিডিয়া,বাংলাদেশ জাতীয় তথ্য বাতায়ন, স্থানীয় জনগণ,বীর মুক্তিযোদ্ধা হেমায়েত উদ্দিন বাদশা, বীর মুক্তিযোদ্ধা মো. হারুন অর রশিদ খান।